চলতি আইপিএলে গৌতম গম্ভীরকে পরামর্শক বানাতেই বদলে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এর আগে দু’বার শিরোপা জেতা দলটি এবারের মতো সাফল্য পায়নি কোনো আসরেই। সেই সাফল্য দেখেই কি তাকে কোচ বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত! দেশটির সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে– রাহুল দ্রাবিড়ের স্থলাভিষিক্ত করতে বিসিসিআই গম্ভীরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নতুন কোচ চায় ভারত।

ইএসপিএন ক্রিকইনফো বলছে, নাইট রাইডার্সের মেন্টর রোহিত-কোহলিদের প্রধান কোচ হতে আগ্রহী কি না, তা জানতে গম্ভীরের সঙ্গে বিসিসিআই যোগাযোগ করেছে। চূড়ান্ত আলোচনা হবে আইপিএলের ফাইনাল শেষে। আগামী ২৭ মে’র মধ্যে ভারতের কোচ হতে আগ্রহীদের আবেদন করতে হবে। তার দু’দিন আগেই ফাইনাল হবে আইপিএলের। 

টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতাই রয়েছে গম্ভীরের। বরং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার যতটুকু অভিজ্ঞতা দরকার, তার থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞ গম্ভীর। এ ছাড়া আইপিএলের মেন্টর হিসেবে লখনৌ সুপার জায়ান্টস ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। ইতোমধ্যে রোহিত শর্মাদের বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড় আর নতুন মেয়াদে দলটির দায়িত্ব নিতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এরপর থেকে বিসিসিআই নতুন কোচের খোঁজে আটঘাঁট বেঁধে নেমেছে। সেই তালিকায় শোনা গেছে চেন্নাই সুপার কিংসের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং এবং লখনৌ কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের নামও।

৪২ বছর বয়সী গম্ভীর চলতি আসর শুরুর আগে কলকাতার পরামর্শকের দায়িত্ব নিতে রাজনীতির মাঠ ত্যাগ করেন। এরপর গ্রুপপর্ব শেষ হওয়ার অনেক আগেই তার শিষ্যরা আইপিএলের প্লে–অফ চূড়ান্ত করে ফেলেছে। ১৩ ম্যাচের মধ্যে ৯ ম্যাচেই জিতেছে কলকাতা, আরেকটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে বৃষ্টিতে। এখনও তাদের একটি ম্যাচ বাকি। তবে টেবিলের শীর্ষ অবস্থান থেকে শ্রেয়াস আইয়ারের দলকে সরানোর আর কোনো সুযোগ নেই কারও।

উল্লেখ্য, গৌতম গম্ভীর ভারতের ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ভারতের হয়ে এই বাঁ-হাতি ওপেনার ৫৮টি টেস্ট, ১৪৭টি ওয়ানডে ও ৩৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। টেস্টে ৯টি সেঞ্চুরি ও ২২টি হাফসেঞ্চুরি–সহ ৪১৫৪ রান, ওয়ানডেতে ১১ সেঞ্চুরি ও ৩৪ হাফসেঞ্চুরি–সহ ৫২৩৮ রান এবং টি-টোয়েন্টিতে ৭টি হাফসেঞ্চুরিতে ৯৩২ রান করেছেন গম্ভীর।

এ ছাড়া সাবেক এই ভারতীয় অধিনায়ক কলকাতাকে ২০১১ থেকে ২০১৭ আসর পর্যন্ত সাত বছর আইপিএলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে ২০১২ এবং ২০১৪ আসরে চ্যাম্পিয়ন এবং পাঁচবার প্লে-অফে খেলেছে দলটি। এ ছাড়া শাহরুখ খানের কলকাতা ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও খেলেছে।

এএইচএস