নিয়ম মেনে ৩০ই এপ্রিল আইসিসির কাছে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের স্কোয়াড পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আর আজ ১৪ই মে ঘোষণা করা হলো দল। মাঝের এই দুই সপ্তাহে বাংলাদেশ দল থেকে বাদ পড়েছেন কেবল একজনই। তিনি পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। 

সাইফউদ্দিন কেন বাদ পড়েছেন, সেটার একটা ব্যাখ্যা অবশ্য দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ‘দুটো রাস্তা ছিল আমাদের সামনে– প্রথমত দলে থাকা ফিট ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে নির্বাচন, দ্বিতীয়ত বাকিদেরও পরখ করে দেখা। আমরা চোট থেকে ফেরা সাইফউদ্দিনের পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিলাম, তার ওপর অবশ্যই আমাদের আস্থা ছিল। তবে এই (জিম্বাবুয়ে) সিরিজে আমাদের আস্থার জায়গায় কিছুটা এগিয়ে তানজিম সাকিব। সে কারণে সাইফউদ্দিনকে রাখা হয়নি।’

তানজিম সাকিবের ব্যাপারেও নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেছেন তিনি, ‘সাকিবকে আমরা শ্রীলঙ্কা সিরিজেও দেখেছি। তার একাগ্রতা ও আগ্রাসন খুব ভালো। তার সঙ্গে সাইফউদ্দিনের প্রতিযোগিতা চলছিল। সে জায়গায় সাকিব উৎরে গেছে। হাসান মাহমুদকেও আমরা ক্যারি করতে হচ্ছে, তবে আশা করি তাকে খেলানো লাগবে না।’ 

সাইফউদ্দিনের জন্য টি-টোয়েন্টি ভাগ্য খুব একটা সুখকর নয়, এমনটা হয়ত বলাই যায়। ৩ বছর আগেও যে এভাবেই কপাল পুড়েছিল তার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেই বিশ্বকাপে ছিল সাইফউদ্দিনের নাম। নিজেও ছিলেন ফর্মের তুঙ্গে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথমপর্বের তিন ম্যাচ আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটা খেলেছিলেন। 

কিন্তু আসরের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে ইনজুরিতে পড়েন এই অলরাউন্ডার। বাদ পড়তে হয় স্কোয়াড থেকে। তার বদলে জায়গা পেয়েছিলেন রুবেল হোসেন। 

তিন বছর পর আবারও একই দৃশ্যপট। তবে এবার ব্যতিক্রম এটাই, সাইফউদ্দিন জায়গাই পেলেন না স্কোয়াডে। বিপিএল দিয়ে দেড় বছরের লম্বা ইনজুরি শেষে মাঠের ক্রিকেটে ফেরেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজটাও তার নেহাত মন্দ কাটেনি। ২০২৪ বিশ্বকাপে আইসিসির তালিকা পর্যন্ত ছিল সাইফের নাম। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের জিম্বাবুয়ে সিরিজটাই যেন কেড়ে নিল তার বিশ্বকাপ স্পট। 

 সিরিজে চার ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হলেও দেদারসে রান বিলিয়েছেন। ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৯.৩১। বিশেষ করে শেষ দুই ম্যাচে তিনি রান দিয়েছেন ৪২ ও ৫৫। এটিই তার বিপক্ষে গেছে বলে প্রধান নির্বাচকের কথায় আভাস পাওয়া গেছে। 

জেএ