জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজেও বাংলাদেশের স্কোয়াডে ছিলেন না হাসান মাহমুদ। তবে প্রথম তিন ম্যাচের দলে থেকেও খেলার সুযোগ মেলেনি আফিফ হোসেন ধ্রুব’র। সে দুজনই আছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে। অর্থাৎ কোনো ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়লে, তারা মূল স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবেন। তার আগেই অবশ্য তাদের মাঠে নামার সুযোগ রয়েছে, বিশ্বকাপের আগে ‍হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র সিরিজে।

টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে ফরম্যাটটিতে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ২১ মে প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু হবে দুই দলের মাঠের লড়াই। একদিন বিরতির পর সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ২৩ মে। আর সিরিজের শেষ ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ২৫ মে। যেখানে তাসকিনের খেলা হবে না বলে আগেই জানা গিয়েছিল। তবে পেসার হাসান মাহমুদ তার বিকল্প হবেন, সেই আলাপও উঠেছিল মৃদু স্বরে।

জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়েন তাসকিন। ফিল্ডিংয়ের সময় শরীরের ডান পাশে চোট পেয়েছেন তিনি। সেই চোট কিছুটা গুরুতর। গ্রেড-টু ধরনের এই ইনজুরির কারণে দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সিরিজে তাই তাকে দেখা যাচ্ছে না এটা নিশ্চিত। তবে টিম ম্যানেজমেন্টের আশা বিশ্বকাপে ঠিকই তাসকিন ফিরবেন সুস্থ হয়ে!

তাসকিন সুস্থ না হলে বিশ্বকাপ দলে ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে সুযোগ পাওয়া হাসান মাহমুদের কপাল খুলে যাবে। যুক্তরাষ্ট্র সিরিজে তাকে খেলিয়ে দেখবে টিম ম্যানেজমেন্ট। পাশাপাশি চিকিৎসাও চলবে তাসকিনের। সময়মতো তাসকিন সুস্থ না হলে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ হবে হাসানের। বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপু বলেছেন, ‘যদি সে খেলতে না পারে, তাহলে বিসিবি তাদের নজরে আনবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এই মুহূর্তে আমি পরিষ্কার উত্তর দিতে পারছি না। যদি সে কোনো কারণে না খেলে, তবে তার পরিবর্তে অন্য কাউকে দেওয়া হবে। আশা করি, এমন কিছু না হোক।’

এ ছাড়া আফিফও যুক্তরাষ্ট্র সিরিজে খেলবেন বলেই ইঙ্গিত রয়েছে লিপুর কথায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে যদি বলি রিপোর্টে যা বলা হয়েছে আমার মনে হয় না তাসকিন সেখানে খেলতে পারবেন। দলের সঙ্গে যারা রিজার্ভ হিসেবে যাচ্ছেন তারা সেখানে খেলার সুযোগ পাবে যুক্তরাষ্ট্র অংশে (সিরিজে)।’

এএইচএস