আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য তাসকিন আহমেদকে সহ-অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে। যা অনেকের কাছে সারপ্রাইজ প্যাকেজ বলা যায়। যে তাসকিনের দলে থাকা নিয়েই ছিল প্রশ্ন, তাকে সহ-অধিনায়ক ঘোষণা করা খানিক বিষ্ময়ের জন্মই দিয়েছে বলতে গেলে। সহ-অধিনায়কের পদ বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফাঁকা আছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই। আরেকটা বিশ্বকাপে এসে এই দায়িত্বে এলেন এমন একজন, যিনি এর আগে জাতীয় দলে এমন পদেই ছিলেন না। 

কেন তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে ব্যাখা হিসেবে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, ‘এটা একটা গ্লোবাল টুর্নামেন্ট। এর আগে তো আমি কোনো দল ঘোষণা করতে আসিনি, এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমাদেরকে অবহিত করা হয়েছে যে তারা ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে তাসকিন আহমেদকে বিবেচনা করেছে। ’ 

এমন মন্তব্যের পরেই অবশ্য তাসকিন নিয়ে উচ্চাশা শোনা গেল প্রধান নির্বাচকের কণ্ঠে, ‘তিনি অন্য একটি জেনারেশনের উদীয়মান একজন খেলোয়াড়। একটা ডিপার্টমেন্টকে লিড করছেন। এবং দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন বিভিন্ন ফরম্যাটে। সেজন্য হয়তো তাকে ডিজার্ভিং ক্যান্ডিডেট মনে করেছে বিসিবি।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাসকিনের না থাকার সম্ভাবনা প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘এটা আপনাদের ভালো বলতে পারবে ভালো মেডিক্যাল কমিটি।  যতটুকু তথ্য জানা আছে, সেই তথ্যের আলোকে আমরা আশা রাখছি তিনি হয়তো বিশ্বকাপ চলার কোনো একটা পর্যায়ে সুস্থ হয়ে যাবেন। সেই আলোকেই তাকে দলভুক্ত করা হয়েছে।’

তাসকিনের দলভুক্তির ব্যাপারে আইসিসির ব্যাখ্যা দিয়ে লিপু বলেন, ‘আপনারা হয়তো অনেকেই ওয়াকিবহাল আছেন এবারের সিলেকশন এবং রিপ্লেসমেন্ট পলিসি আইসিসির যেটা সেখানে আপনি তিনজন খেলোয়াড়কে ক্যারি (রিজার্ভ) করতে পারবেন। পরবর্তী পর্যায়ে কোনো খেলোয়াড় যদি আকাঙ্ক্ষিত রিকোভারি না হয়, তখনও আপনি তাকে বদলাতে পারবেন। এমন না যে সবাইকে ফ্রেশ নিয়ে ২৫ তারিখের মধ্যে ঢুকতে হবে। তারপর কেউ ইনজুরড হলে বদলাতে পারবেন না, ব্যাপারটা এমন না। আপনি একজন ইনজুরড খেলোয়াড় নিয়েও টুর্নামেন্টে ঢুকতে পারবেন।’

এসএইচ/জেএ