সবার আগে বাদ পড়ার সম্ভাবনায় ছিল বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম ৮ ম্যাচ থেকে তাদের জয় ছিল মোটে ১ ম্যাচে। সেই দলটি পরের পাঁচ ম্যাচে টানা জয় পেয়েছে। এমনকি প্লে -অফের দৌড়েও বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে বেঙ্গালুরু। নিজেদের শেষ ম্যাচে দিল্লির বিপক্ষে জয় অনেকটাই আশাবাদী করে তুলেছে তাদের। 

লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা মুখোমুখি হবে চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠের সেই ম্যাচে জয়ের সমীকরণটাও জানা আছে তাদের। চেন্নাই আগে ব্যাট করলে, সেই রান বেঙ্গালুরুকে টপকে যেতে হবে ১৮.১ ওভারে। আর যদি চেন্নাই পরে ব্যাট করতে নামে, তবে ১৮ রানের জয় দরকার চেন্নাইয়ের। সেক্ষেত্রেই কেবল শীর্ষ চারে আসতে পারবে কোহলি-ডু প্লেসিসদের বেঙ্গালুরু। 

তবে সমীকরণ এতটাও সহজ না। চেন্নাই নিজে আছে ফর্মে। তাছাড়া লখনৌ সুপার জায়ান্টস বা সানরাইজারর হায়দরাবাদের ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে বেঙ্গালুরুকে। সবমিলিয়ে গাণিতিক গণনা বলছে, শেষ ম্যাচ জিতলে বেঙ্গালুরুর প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে ৪০ শতাংশ। আরও পাঁচটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করারও সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। কোহলিদের নেট রানরেট অবশ্য বেশ ভাল। তাই কিছুটা নির্ভার থাকার সুযোগ থাকবে। 

তবে প্লে-অফের সম্ভাব্যতার ক্ষেত্রে বাকি সবার চেয়ে এগিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১২ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলায় চেন্নাইয়ের থেকেও এগিয়ে থাকবে তারা। হায়দরাবাদের প্রথম চারে ওঠার সম্ভাবনা বেশি ৯৭ শতাংশ। কলকাতা ও রাজস্থানের সঙ্গে তাদের একই পয়েন্টে শেষ করার সম্ভাবনা ৩ শতাংশ।

সম্ভাবনার বিচারে এরপরেই আছে চেন্নাই সুপার কিংস। মৌসুমের শেষদিকে খানিক ভুগতেই হচ্ছে দলকে। তবে এরপরে ১৩ ম্যাচে তারা পেয়েছে মোট ১৪ পয়েন্ট। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের প্রথম চারে শেষ করার সম্ভাবনা ৯১ শতাংশ। আরও দুই বা তিনটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করার সম্ভাবনাও রয়েছে তাদের। সে ক্ষেত্রে হিসাবে অনেকটা এগিয়ে থাকবে নেট রানরেটের কারণে।

দিল্লি ক্যাপিটালসের সংগ্রহ ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। দিল্লির প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা ৩১.৩ শতাংশ। তিন থেকে পাঁচটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করতে পারে তারা। সে ক্ষেত্রে দেখা হবে নেট রানরেট। আবার লখনৌর অর্জন ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলায় দিল্লির তুলনায় তাদেরই প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা বেশি (৫৬ শতাংশ)। 

গুজরাট টাইটান্স ১২ ম্যাচে অর্জন করেছে ১০ পয়েন্ট। তাদের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা সব থেকে কম। নেট রানরেট কম থাকায় তাদের সম্ভাবনা মোটে ১৬ শতাংশ। 

এদিকে কাগজে কলমে প্লে-অফ নিশ্চিত না হলেও রাজস্থান রয়্যালসের শেষ চারে থাকা প্রায় সুনিশ্চিত। ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট তাদের। হারের হ্যাটট্রিক করলেও রাজস্থানের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে শেষ করার সম্ভাবনা থাকবে ১২.৫ শতাংশ। তাদের প্রথম দুইয়ে শেষ করার সম্ভাবনা ৩৭.৫ শতাংশ। যদি রাজস্থান বাকি দু’টি ম্যাচ হারে তা হলে চেন্নাই ও হায়দরাবাদের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করতে পারে দলটি। তার পরেও নেট রানরেটের বিচারে প্লে-অফের জন্য এগিয়ে থাকবে তারা। 

জেএ