সঞ্জীব গোয়েঙ্কা রাগ্বানিত ভঙ্গিতে কিছু একটা বলতে চাইছেন। বিমর্ষমুখে সেই কথা শুনে যাচ্ছেন লোকেশ রাহুল। অনেকের চোখে এটিই ২০২৪ সালের আইপিএলের সবচেয়ে বিব্রতকর দৃশ্য হয়ে থাকবে। প্রকাশ্যে দলের অধিনায়ককে কথার তোপে ভাসাচ্ছেন দলের মালিক– এমন দৃশ্য খুব একটা চোখে পড়ে না। বরং দল হারার পরেও শাহরুখ খান, প্রীতি জিনতারা খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিয়েছেন এমন দৃশ্যই বারবার চোখে এসেছে বিগত ১৬ বছরে। 

সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এমন আচরণ মোটেই সহজভাবে নেননি ভারতের বিশ্বকাপজয়ী তারকা বীরেন্দর শেবাগ। তার মতে, সঞ্জীব গোয়েঙ্কারা আইপিএলে এসেছেন কেবলই ব্যবসা করতে। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা থেকে নয়। কদিন আগে জাতীয় দলের সতীর্থ মোহাম্মদ শামি রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন শেবাগ। 

ঘটনা ঘটে আইপিএলের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের হারের পর।  অধিনায়ক রাহুলকে মাঠের মধ্যেই ভর্ৎসনা করতে দেখা যায় দলের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে। পরপর দুবার দলকে আইপিএলের প্লে অফে তুললেও এবার কিছুটা পিছিয়ে আছে এলএসজি। হারের পর সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বিরক্ত হয়ে তিনি রাহুলের ওপর অসন্তোষ দেখান। কিন্তু সবটাই করেন মাঠের মধ্যে ক্যামেরার সামনে। 

বিষয়টি ছড়িয়ে যেতে সময় নেয়নি। জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে লোকেশ রাহুলের কাছে পুরো বিষয়টি বেশ বিব্রতকর ছিল। 

আইপিএলের ম্যাচে সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের কাজ করছেন ভারতের এই বিশ্বকাপজয়ী শেবাগ। পুরো বিষয়টি নিয়ে দলের মালিকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি, ‘আপনি ব্যবসা করতে এসেছেন, সবাই তাই করছে। ফলাফল যাই হোক না কেন ৪০০ কোটি টাকা তো লাভ হচ্ছে, ক্ষতির তো কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই ফলাফল যাই হোক না কেন ক্রিকেটারদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত আপনার।’ 

এরপরেই নিজের উদাহরণ টেনে আনেন শেবাগ, ‘ক্রিকেটাররা যদি ভাবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ছেড়ে দিলে আমায় অন্য দল নিয়ে নেবে, তখন সেটা ভালো হবে? কোনও প্লেয়ারকে হারালে তো জয়ের সম্ভাবনা আরও কমবে। আমি যখন পঞ্জাব ছেড়েছিলাম তখন তাঁঁরা পাঁচ নম্বরে ছিল, এরপর আর ওরা পাঁচে শেষ করতেই পারেনি। ' 

শেবাগের মতে, ‘কর্ণধাররা প্রশ্ন করতেই পারে যে কি সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু সেটা ড্রেসিং রুমে বা সংবাদ সম্মেলনের সময় করতে পারে। দলের কোনও ক্রিকেটারকে নিয়ে সমস্যা থাকলে টিম ম্যানেজমেন্ট বা কোচকে তা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে। কারণ কোচ, অধিনায়ক দল পরিচালনা করে। কিন্তু এভাবে মাঠের ভিতর কাউকে বিড়ম্বনায় না ফেলে তাদের উদ্বুদ্ধ করা উচিত’। 

জেএ