চলমান আইপিএলে গ্রুপপর্বের ম্যাচ এখনও শেষ হয়নি। ২১ মে থেকে শুরু প্লে-অফ রাউন্ড। পরবর্তীতে ২৬ মে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটির ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিশ্বকাপের আগে আন্তর্জাতিক ব্যস্ততায় আইপিএলের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে থাকছেন না বেশ কয়েকজন বিদেশি তারকা। এনওসির মেয়াদ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমানও ফিরে এসেছেন মাঝপথে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই টুর্নামেন্ট ছেড়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের বেতন কেটে নিতে বলেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার।

মূলত সাবেক এই ভারত অধিনায়ক ক্ষেপেছেন ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) আচরণে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংলিশরা ঘরের মাঠে ২২ মে থেকে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে। তারও কয়েকদিন আগেই ফিরে যেতে হবে দেশটির ক্রিকেটারদের। সে বিষয়টা স্মরণ করিয়ে দিয়েই গাভাস্কারের দাবি— বিসিসিআইয়ের উচিৎ এসব ক্রিকেটার ও তাদের বোর্ডকে শাস্তির আওতায় আনা।

বর্তমানে ধারাভাষ্যে এই পরিচিত মুখ বলেন, ‘আমি সবসময়ই দেশের হয়ে খেলাকে প্রাধান্য দিই, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিকে পুরো মৌসুমে খেলার আশ্বাস দেওয়ার পর সেটি না মানা মানেই দলটিকে বিপদে ফেলে দেওয়া। অথচ দেশের হয়ে খেলতে গিয়ে কয়েক মৌসুমেও যা পাবে না, সেটাই এখানে এক মৌসুমে পাচ্ছে। এজন্য কেবল ওই ক্রিকেটারের কিছু বেতনই নয়, বোর্ডকেও টাকা না দেওয়া উচিৎ। বিভিন্ন ক্রিকেটারের চুক্তির ১০ শতাংশ কমিশন বোর্ড পেয়ে থাকে।’

গাভাস্কার আরও বলেন, ‘নিশ্চয়তা দেওয়ার পরও ক্রিকেটারদের খেলতে না দেওয়া বোর্ডকে এই আর্থিক শাস্তি দেওয়া দরকার। কেবল আইপিএল থেকেই বোর্ডগুলো ক্রিকেটারপ্রতি ১০ শতাংশ করে কমিশন পায়, অন্য কোথাও এই সুযোগ নেই। এজন্য কি বিসিসিআই ন্যূনতম ধন্যবাদও পায়? হা হা হা, কোনো ভাবেই না।’

এদিকে, গত ৩০ এপ্রিল পাকিস্তান সিরিজ ও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। স্কোয়াডে থাকা ৮ জন ক্রিকেটার খেলছেন চলতি আইপিএলে। যাদের মধ্যে জস বাটলার, ফিল সল্ট ও উইল জ্যাকসরা দুর্দান্ত ফর্ম দেখিয়ে চলেছেন। কিন্তু স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের ২২ মে’র আগেই দেশে ফিরতে আদেশ দিয়েছে ইসিবি। ফলে ৮ জন ইংলিশ ক্রিকেটারকেই এরপর থেকে পাচ্ছে না আইপিএলের দলগুলো।

রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ইতোমধ্যে এবার দুটি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার। ৮ ম্যাচে ৫৩.১৬ গড় এবং ১৫০.৩৭ স্ট্রাইকরেটে তিনি ৩১৯ রান করেছেন। তাকে আসরের মাঝে হারানো বড় ক্ষতি বলে জানিয়েছেন রাজস্থানের বোলিং কোচ শেন বন্ড, ‘প্লে–অফে জসের (বাটলার) না থাকাটা বড় ক্ষতি। সে ভয়ঙ্কর খেলোয়াড়। যখন আমি মুম্বাইয়ে ছিলাম সে মাঝপথে চলে গিয়েছিল, তবুও আমরা টুর্নামেন্টটি জিতেছিলাম। এটাই খেলার অংশ। ইনজুরির কারণে আমরা আরও কয়েকজনকে প্লে–অফে পাব না। কলকাতা ফিল সল্টকে হারাবে, অন্যরাও কয়েকজনকে পাবে না।’

এএইচএস