প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে আয়ারল্যান্ড। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের সঙ্গে সিরিজ ড্র করার পর, বাবর আজমদের আইরিশ অভিযানও তিক্ততা দিয়ে শুরু হয়েছে। শেষ ওভারে ১১ রান লাগত আয়ারল্যান্ডের, ১ বল হাতেই রেখেই সেটি টপকে গেছেন পল স্টার্লিংরা। এমন হারের জন্য বোলার ও ফিল্ডারদের দায় দিয়েছেন পাক অধিনায়ক বাবর।

আয়ারল্যান্ডের ক্লনটার্ফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠে গতকাল (শুক্রবার) তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয় দু’দল। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তোলে। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ (৪৩ বল) বাবর ও ওপেনার সাইম আইয়ুব ৪৫ রান (২৯ বল) করেন। জবাবে সাবেক অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নির ৭৭ রানের সুবাদে ৫ উইকেটে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় আয়ারল্যান্ড।

পাকিস্তানের হয়ে আবারও বোলিংয়ে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন লেগস্পিনার শাদাব খান। উইকেটশূন্য থেকে ৪ ওভারে তিনি ৫৪ রান খরচ করেন। একইভাবে নাসিম শাহ, আব্বাস আফ্রিদিরাও ছিলেন বেশ খরুচে। তবে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও ইমাদ ওয়াসিম ছিলেন ১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি যথেষ্ট ইকোনমিকাল বোলার। তবুও বড় রানের মাঠে সফরকারী পাকিস্তানের ১৮২ জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। তার কারণ বাবর–সাইম ও শেষদিকে ইফতিখারের ক্যামিও ইনিংস ছাড়া অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতা!

যদিও বাবর দায় দিয়েছেন বোলার ও ফিল্ডারদের। ম্যাচ শেষ পাক অধিনায়ক জানান, ‘প্রথম ৬ ওভারে ভালো শুরু পাইনি, অথচ এখানকার উইকেটে অনেক পেস ও বাউন্স ছিল। এরপর অবশ্য আমরা ভালো কামব্যাক করেছি, তবে ১৮২–স্কোর কম হয়েছে, আমি মনে করি সেটি ১৯০ হতে পারত।’

‘তবে আমার দৃষ্টিতে আমরা হেরেছি বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে বাজে প্রদর্শনীর জন্য। আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি এবং মাঠে ফিল্ডিংয়ে বেশকিছু ভুল ছিল, যার জন্য আমাদের বড় মূল্য চুকাতে হয়েছে’, আরও যোগ করেন বাবর।

এই হারে তিন ম্যাচ সিরিজে ১–০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল পাকিস্তান। একইসঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এটি বড় ধাক্কাও বটে! আগামী ১২ ও ১৪ মে পাকিস্তান–আয়ারল্যান্ড শেষ দুটি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে। এরপর বাবররা উড়াল দেবেন ইংল্যান্ডে। সেখানে দু’দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মোকাবিলা করবে।

এএইচএস