২-১ গোলে এগিয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ তখন খেলা শেষের বাঁশির অপেক্ষায়। একটু আগেই ঘরের মাঠে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তন দেখিয়েছে তারা। হোসেলু মাতোর ৩ মিনিটে ২ গোলের সুবাদে পিছিয়ে থাকা ম্যাচ থেকেও পেয়েছে জয়ের অবস্থান। কিন্তু প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ তখনো মরিয়া ম্যাচে ফিরতে। 

পাল্টা আক্রমণে একটা গোল পেয়েও যায় তারা। নুসাই মাজরাউইয়ের কাছ থেকে বল পান টমাস মুলার। সেখান থেকে ভলিতে ম্যাথিয়াস ডি লিটের গোল। তবে বল জালে যাওয়ার আগেই অফসাউডের পতাকা তোলেন লাইনসম্যান। চোখের পলকে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনায় পরে ভিএআর চেকের অনুরোধ জানায় বায়ার্ন। যদিও রেফারি সিমোন মার্সিনিয়াক তাতে কান দেননি। 

ম্যাচ শেষে পুরো বিষয়টি নিয়েই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বায়ার্নের খেলোয়াড় এবং কোচরা। সরাসরি তাদের দোষ দিতেও দ্বিধা ছিল না তাদের। গোলদাতা ডি লিট সরাসরিই বললেন রেফারির পক্ষপাতী আচরণ নিয়ে, 'আমি এটা বলতে চাই না যে, রিয়ালের পক্ষেই সবসময় রেফারি থাকে। তবে আজ ওটা বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।' 

অবশ্য রিয়ালের কামব্যাকের প্রশংসাও করতে ভোলেননি এই ডাচ ডিফেন্ডার, ‘রিয়াল, যখন আপনি ভাববেন ওরা শেষ হেয়ে গিয়েছে। আর একটামাত্র শ্বাস নেওয়া বাকি... এজন্যই ওরা ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দল।’

ডি লিটের মতো অতটা শান্তভাবে কথা বলেননি বায়ার্ন কোচ টমাস টুখেল। অভিযোগ এনেছেন ফুটবলীয় আইন ভঙ্গের, ‘এটা যাচ্ছেতাই। একেবারেই যা তা। আর নিশ্চিতভাবেই ফুটবল আইন ভঙ্গ করেছে। নিয়ম বলছে খেলা চালিয়ে যেতে হবে। প্রথম ভুল করেছে লাইন্সম্যান। পরের ভুলটা করেছে রেফারি।’

ফুটবল আইনের ব্যখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে টুখেলের মন্তব্য, ‘এমন একটা পরিস্থিতিতে, যখন আপনি একেবারেই নিশ্চিত না যে অফসাইড হচ্ছে, তখন আপনি কখনোই অফসাইডের পতাকা তুলতে পারেন না। কোনোভাবেই না। এমন একটা পরিস্থিতিতে, এতটা সাহস নিয়ে অফসাইড ডাকা, সত্যিই অনেক বড় কিছু।’

রেফারি মার্সিনিয়াককে নিয়েও আছে তার অভিযোগ, 'রেফারি যখন দেখেছেন আমরা সেকেন্ড বল পেয়েছি, রিবাউন্ড পেয়েছি আর শট করেছি, সবকিছুই ৫ সেকেন্ডের মধ্যে হয়েছে। তার সুযোগ ছিল বাঁশি না বাজানোর। কিন্তু তিনি বাঁশি বাজানোর সিদ্ধান্ত নেন। আমি দুঃখিত (এভাবে বলার জন্য), তবে এটা সব ধরণের আইনের বিরুদ্ধে।' 

'আমরা মেনে নিচ্ছি আমরা হেরেছি। এটাই চূড়ান্ত। তবে বিষয়টা অন্যপ্রান্তে হলে সিদ্ধান্ত এমন হতো না।'-যোগ করেন এই জার্মান কোচ।

জেএ/