যে পরামর্শে এমন বিধ্বংসী ব্যাটিং ম্যাকগার্কের
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া প্রতিযোগিতার পর চলতি আইপিএলেও স্মরণীয় পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছেন তরুণ ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে তার অভিজ্ঞ দুই স্বদেশি ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ কাঙ্ক্ষিত কিছু করে দেখাতে পারেননি। বিপরীতে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে নজির গড়ছেন ম্যাকগার্ক। এমন আগ্রাসী ব্যাটিং তিনি আগে থেকেই করছেন, তবে একটি বিশেষ পরামর্শে তিনি নিজেকে বদলে ফেলেছেন!
চলতি আইপিএলে ম্যাকগার্ক মূলত ডাক পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার লুঙ্গি এনগিডির বদলে। প্রোটিয়া পেসার চোটের কারণে আসর থেকে ছিটকে যান। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো বিধ্বংসী ব্যাটিং পছন্দ করা ম্যাকগার্ক হয়তো শুরুটা ভালো করলেও ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারবেন না। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লি শিবিরে তার আসার পর থেকেই দলের পারফরম্যান্সেও আমূল পরিবর্তন এসেছে।
বিজ্ঞাপন
শুরুতে টানা হারতে থাকা দিল্লি এখন বড় দলকেও টেক্কা দিয়ে যাচ্ছে। এবারের আইপিএলে প্রথম পাঁচ ম্যাচে কেবল একটি জয় পাওয়া ঋষভ পান্তদের দলটি পরের সাত ম্যাচের পাঁচটিতে জিতেছে। এই পরিসংখ্যানই যথেষ্ট এবারের আইপিএলে দিল্লি শিবিরে ম্যাকগার্কের অবদান বোঝার জন্য। যদিও নিজের পারফরম্যান্সের জন্য তরুণ এই ক্রিকেটার কৃতিত্ব দিচ্ছেন দলের কোচ তথা অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিংকে। তার পরামর্শে ব্যাটিংয়ের সময় শট খেলার কৌশল ও মাথার অবস্থানে আগের চেয়ে পরিবর্তন এনেছেন ২২ বছরের ম্যাকগার্ক।
— Cricbuzz (@cricbuzz) May 8, 2024
এ নিয়ে অজিদের এই উঠতি তারকা বলছেন, ‘আমায় রিকি পন্টিং যা বলেছেন সেটা মাথায় ঢুকে গেছে। আমি যখন নিজের ব্যাট একশভাগ চালিয়ে শট খেলছি, তখন আমার মাথার পজিশন ঠিক থাকছে না। কিন্তু ৮০ শতাংশ ব্যাট সুইং করে ব্যাট-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করতে পারলেই ছয় রান আসছে। ১০০ শতাংশ ব্যাট না ঘুরিয়ে ৮০ শতাংশ ঘোরালেই বেশি দূর বল যাচ্ছে। এটা আমি প্রথমে বুঝিনি। পন্টিং আমায় বলার পর আমি আমার বিভিন্ন ম্যাচের ফুটেজ দেখি, আমি ব্যাট যত জোরে চালাই তত আমার মাথা ঘুরে যায়। হেড মুভমেন্ট বেশি হয়, তাই এখন সর্বশক্তি দিয়ে নয়, বরং টেকনিক দিয়েই খেলার চেষ্টা করছি,আর তাতেই রান পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন
এরপর প্রথম আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতাও জানিয়েছেন ম্যাকগার্ক। তিনি বলেন, ‘এটি (আইপিএল) অনেকটা এএফএল–এর (অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগ) ফাইনালের মতো। এটার বিস্তৃতি ব্যাপক, আবহ পুরো পাগলাটে। আমার মতে এটি দারুণ উচ্চশব্দে ঘেরা থাকে, তবে খেলার সময় সেটি মোটেও বিরক্তি সৃষ্টি করে না। শিল্ড গেমে (২০০ দর্শকের সামনে) খেলায় যেমন নার্ভাস থাকি, তেমনটা এখানে অনুভূত হয় না। অথচ আহমেদাবাদে প্রায় ৭৫ হাজার দর্শক থাকেন।’
— IndianPremierLeague (@IPL) May 7, 2024
ম্যাকগার্ক নতুন করে আলোচনায় আসেন চলতি আইপিএলের ফর্ম দিয়ে। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে তিনি এখন পর্যন্ত সাতটি ইনিংসে চার হাফসেঞ্চুরিতে ২৩৫.৮৭ স্ট্রাইকরেটে ৩০৯ রান করেছেন। যেখানে তার গড় ৪৪.১৪। এর মধ্যে দুটি ম্যাচেই ১৫ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। সর্বশেষ গতকাল ফিফটি করেন ১৯ বলে। আইপিএলে ন্যূনতম ৬০ রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ম্যাকগার্কের স্ট্রাইকরেট সর্বোচ্চ।
এএইচএস