জিম্বাবুয়েকে ছোট করে দেখার কিছু নেই : হৃদয়
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারছে বাংলাদেশ। যদিও আইসিসির মেগা টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য এই সিরিজকে আদর্শ মানতে নারাজ সাকিব আল হাসান। পরে একই সুরে মন্তব্য করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজকে দেখা হচ্ছে খুবই হালকাভাবে। সিকান্দার রাজারাও সেভাবে লড়াই জমাতে পারছেন না। তবে জিম্বাবুয়েকে ছোট করে দেখার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন তাওহিদ হৃদয়।
টানা তিন জয়ে রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে গতকাল (মঙ্গলবার) টাইগারদের সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে। সর্বোচ্চ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাওহিদ হৃদয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে টাইগারদের এই প্রতিনিধি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে ১০ রান কম করেছি। উইকেট একটু স্লো ছিল। এই উইকেটে প্রথম ম্যাচও খেলেছি। এমন উইকেটে ১৭০...যে স্কোর করেছি এটাও খারাপ না। হয়তো শেষদিকে ওদের ব্যাটাররা বেশি ভালো করেছে, যে কারণে এমন লাগছে।’
বিজ্ঞাপন
ম্যাচটিতে ছন্নছাড়া শুরুর পর মূলত জাকের আলি অনিকের সঙ্গে হৃদয়ের জুটি বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছে। এ নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘পার্টনারশিপ ১-২টা বড় হলে দলের চেহারাই বদলে যায়। পার্টনারশিপ ওপর (টপ–অর্ডার) থেকে হলে আরও ভালো হতো, মাঝখান থেকে হয়েছে। দুজনই চেষ্টা করেছি যত বেশি সম্ভব অবদান রাখার। এক্সিকিউশন মোটামুটি হয়েছে, আরও হলে ভালো হতো।’
পাওয়ার-প্লেতে খেলা নিয়ে হৃদয় বলেন, ‘পাওয়ার-প্লেতে কত হলে আপনাদের দিক থেকে ভালো, একটু বলবেন? ৪৫-৫০? ৫০-৬০? এটা নির্ভর করে যদি উইকেটটা থাকে। উইকেট দ্রুত পড়ে গেলে রোজ তো ৪৫-৫০ হবে না। ৫-১০ রান এদিক-ওদিক হয়ে যায়। যদি ব্যাটাররা আরেকটু ভালো শুরু করে তাহলে তেমনটা ভাবা যায়। উইকেট হারিয়ে ফেলার কারণেই ৫-১০ রান কমতি হয়। উইকেটে বোলারদের সহায়তা ছিল। আশা করি সামনে ঠিক হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন
একইসঙ্গে জিম্বাবুয়েকে ছোট করে দেখতেও নারাজ হৃদয়, ‘ওরাও ভালো দল, ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলে। জিম্বাবুয়ে বলে ছোট করে দেখার কিছু নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যেক দলই শক্তিশালী দল। আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া ক্রিকেটে আকাশ–পাতাল পার্থক্য। আমার মনে হয়েছে খুব ভালোভাবে প্রস্তুতি হচ্ছে। কিছু উন্নতির জায়গা আছে, যা প্রত্যেক ম্যাচেই থাকে। আমাদের উন্নতির জায়গাগুলোতে যত দ্রুত উন্নতি করা যায় দলের জন্য তত ভালো।’
এসএইচ/এএইচএস