গত বছরের মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল তাওহিদ হৃদয়ের। এরপর থেকেই তিনি জাতীয় দলের প্রায় নিয়মিত সদস্য। ডিপিএলের পর চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ব্যাট হাতে দারুণ ধারাবাহিক হৃদয়। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আজ (মঙ্গলবার) হৃদয় ক্যারিয়ার সেরা ৫৭ রান করেছেন। পরে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটারের হাতে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে হৃদয় জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ, রান করলে অবশ্যই ভালো লাগে। একজন ব্যাটার হিসেবে আমার কাজ দলে অবদান রাখা। আমি চেষ্টা করি ফিল্ডিং করে হোক কিংবা রান করে, দলে যেন অবদান রাখতে পারি। যেদিন শুরুতে ব্যাটিং পাব, দলের জন্য যেন ভালো কিছু এনে দিতে পারি।’

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর জাকের আলি অনিকের সঙ্গে গড়েছেন বড় পার্টনারশিপ। হৃদয় বলেন, ‘আমি এমন জায়গায় ব্যাট করছি পাওয়ারপ্লেতেও নামা লাগতে পারে, ১৫-১৬ ওভার পরও নামা লাগতে পারে, প্রথম ওভারেও নামা লাগতে পারে। ম্যাচের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাট করি। আজ দ্রুত ২ উইকেট হারানোয় বড় পার্টনারশিপ দরকার ছিল। আমি আর জাকের ভাই জুটি গড়েছি। চেষ্টা করেছি চাহিদা অনুযায়ী ব্যাট করার। আমাদের লক্ষ্য ছিল যত বেশি রান করা যায়। যদি দ্রুত ২-১টা উইকেট না যেত, ৭০-৮০ রানের একটা ইনিংস থাকত তাহলে রান হতো দুইশ’র কাছাকাছি।’

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৫৭ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। জবাবে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৪ রান করেছেন ফারাজ আকরাম। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন নেন ২ উইকেট।

এই জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল। এবার বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ গড়াবে মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। আগামী ১০ ও ১২ মে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি মুখোমুখি হবে দু’দল।

এসএইচ/এএইচএস