বাংলাদেশকে ১৩৯ রানের লক্ষ্য দিলো জিম্বাবুয়ে
স্কোরবোর্ডে ৪২ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। টপ অর্ডার ব্যর্থতায় আরও একবার অলআউটের শঙ্কায় পড়েছিল তারা। তবে সেই শঙ্কার মেঘ উড়ে যায় জোনাথন ক্যাম্পবেলের ব্যাটে। এই অভিষিক্ত ব্যাটার উইকেটে এসেই পাল্টা আক্রমণ করেছেন। তাতে হাফ ছেড়ে বাঁচে রোডেশিয়ানরা! এরপর ব্রায়ান বেনেটও দারুণ ব্যাটিং করেছেন। তাতে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে সফরকারীরা।
রবিবার (৫ মে) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন জোনাথন ক্যাম্পবেল।
বিজ্ঞাপন
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরু করেন দুই ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি ও তাদিয়ানশে মারুমানি। কিন্তু ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি তারা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন মারুমানি। য়ারেক ওপেনার গাম্বিও সুবিধা করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৩০ বলে ১৭ রান।
গত ম্যাচের মতোই এবারও ব্যর্থ হয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ বলে ১৩ রান। টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে দায়িত্ব নিতে পারেননি সিকান্দার রাজাও। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার ৮ বলে করেছেন ৩ রান। এরপর উইকেটে এসে ডাক খেয়েছেন ক্লাইভ মানদান্দে। তাতে ৪২ রানেই টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারায় সফরকারীরা।
এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে টেনে তুলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট। দুজনে মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। তাতে একশ পেরোয় সফরকারীরা। ২৪ বলে ৪৫ রান করেন ক্যাম্পবেল। আর বেনেট অপরাজিত থেকেছেন ২৯ বলে ৫৪ রান করে।
বাংলাদেশের হয়ে যারাই বল হাতে নিয়েছেন, সবাই উইকেট পেয়েছেন। ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ। রিশাদ হোসেনও পেয়েছেন ২ উইকেট। তাছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও শেখ মেহেদি।
এইচজেএস