বাংলাদেশে এখন ক্রিকেট জনপ্রিয়তার শীর্ষে। মিরপুরের শের-ই-বাংলায় দর্শকের উপচে পড়া ভিড় তারই প্রমাণ দেয়। অথচ সপ্তাহ কয়েক আগে অস্ট্রেলিয়া নারী দলের বিপক্ষে সিরিজে দর্শক খরা ছিল হোম অব ক্রিকেটে। নারী ক্রিকেটের প্রতি দর্শকদের এমন অনীহা দেখে গেছে চলমান ভারত সিরিজেও। এর বড় কারণ তাদের পারফরম্যান্স।

এবার দেশের মাটিতে বসছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই মেগা আসর দেশে নারী ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াবে বলে বিশ্বাস নিগার সুলতানা জ্যোতির। একইন সঙ্গে ভালো কিছু দর্শককে উপহার দেওয়ার প্রত্যয় অধিনায়কের কণ্ঠে।

বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করার পর আজ রোববার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জ্যোতি বলেন, 'প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার। সবাই খেলে, কিন্তু খুবই কম সংখ্যক খেলোয়াড় এটা করতে পারে। আমাদের দলে যারা আছি এবং কমবেশি হয়তো এখান থেকে সবাই খেলবেন। তারা অনেক বেশি সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশের মাটিতে আমরা বড় টুর্নামেন্টে, বাংলাদেশের জার্সি গায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব।'

জ্যোতি আরো বলেন, ‘আমরা অনেক বেশি রোমাঞ্চিত। একটু টেনশনও কাজ করছে। কারণ হোম দর্শক থাকবে। সবাই চাইবে আমরা ভালো করি। আমরা এখন কঠিন সময় পার করছি। হয়তো অনেকের অনেক সংশয় আসতে পারে। কিন্তু তবুও বলব যে এই দলটা অনেক ভালোও করছে। আমাদের হাতে যে সময় আছে, আমরা যদি আরেকটু ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারি।'

এখনও পর্যন্ত চারটি বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০১৪ ছাড়া আর কখনও ম্যাচ জিততে পারেনি। এবার ঘুরে দাঁড়াতে চায় টাইগ্রেসরা। জ্যোতি বলেন, 'নিজেদেরকে যদি আরেকটু ভালোভাবে তুলে ধরতে পারি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের যে আক্ষেপটা আছে, আমরা যে চারটা বিশ্বকাপ খেলেছি ২০১৪ ছাড়া আর কোনোটিতে ম্যাচ জিততে পারিনি। আমাদের ফোকাস প্রথমে থাকবে যেন আমরা ম্যাচ জিততে পারি বাস্তবসম্মতভাবে। অবশ্যই সবার যদি সাপোর্ট, দোয়া পাই বিশ্বকাপটা হয়তো আমরা রঙিন করে রাখতে পারবো।’

এইচজেএস