আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করে যা বললেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) এবার ২৩তম শিরোপা জিতেছে আবাহনী। এখন পর্যন্ত চলতি লিগে ১৪টি ম্যাচের একটাতেও হারেনি খালেদ মাহমুদ সুজনের দলটি। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেএসপিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৪ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই আবাহনীর চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত হয়ে গেছে।
দলটির নেতৃত্বের ভার সামলেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাঝের সময়ে নাজমুল হোসেন শান্তও দায়িত্ব পালন করেছেন দলটির, এরপর তিনি ফিরে গেছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। গতকাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মোসাদ্দেক বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হওয়া মানেই তো বিশেষ। সেটা যে কারো জন্য। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি এজন্য অবশ্যই ভালো লাগছে।’
বিজ্ঞাপন
দুই ম্যাচ আগেই শিরোপা নিশ্চিত হলেও, দলের জন্য এই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে দাবি মোসাদ্দেকের, ‘অবশ্যই ভালো লাগার ব্যাপার আছে। আপনারা দেখেছেন শেখ জামালের সঙ্গে আমাদের সব সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। সেই ধারাবাহিকতা ছিল এই ম্যাচেও। এই ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। আজকের ম্যাচে আমাদের জেতাটা অনেক দরকার ছিল। কারণ আমরা জানি যে এখান থেকে আমাদের কিছু ক্রিকেটার আবার চলে যাবে। সেক্ষেত্রে সামনের দুইটা ম্যাচ কঠিন হবে আমাদের জন্য। এজন্য যারা খেলতে আসছে (জিম্বাবুয়ে সিরিজের স্কোয়াড থেকে) তাদের অবশ্যই ধন্যবাদ এবং ভালো খেলেছে। সবমিলিয়ে পুরো ক্রেডিটটা দলের।’
ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৬৭ রান তুলেছিল সাকিব আল হাসানের শেখ জামাল ধানমন্ডি। ১ বল এবং ৪ উইকেট হাতে রেখেই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। চলতি আসরে তারা টানা ১৪ ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে। অথচ এখনও দুই ম্যাচ বাকি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতদের। এ নিয়ে আবাহনী ডিপিএলের ২৩তম শিরোপা ঘরে তুলেছে। লিস্ট-এ মর্যাদা পাওয়ার পর যা তাদের পঞ্চম শিরোপা।
যদিও রানতাড়ায় শুরুটা ভালো ছিল না আবাহনীর। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেনের জুটিতে আবাহনী সেই বিপর্যয় দারুণভাবে সামলে ওঠে। দুজন মিলে গড়েন ১০৩ রানের জুটি। ৮০ বলে ৬৭ রান করেন বিজয়, ৮৮ বলে ৮৩ রান করে ফেরেন আফিফও। তাদের বিদায়ের পর ঠাণ্ডা মাথায় এক প্রান্ত আগলে রাখেন সৈকত। শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ৯ রানের সবগুলোই তিনি নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৪টি ছক্কায় ৫৪ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন সৈকত।
এসএইচ/এএইচএস