আইপিএলটা কী দারুণই না পার করছেন ফ্রেজার ম্যাকগার্ক। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রীতিমত ঝড় তুলছেন ব্যাট হাতে। সাবেক দুই অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক এবং অ্যারন ফিঞ্চ দাবি জানিয়েছিলেন ম্যাকগার্ককে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকেই কিনা বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখছে না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এমনকি স্টিভ স্মিথও থাকছেন না বিশ্বকাপে। 

সময়টা খুব একটা অবশ্য ভাল যাচ্ছে না স্টিভ স্মিথের জন্য। অন্তত টি-টোয়েন্টিতে স্মিথের ব্যাট হাসছে না বেশ অনেকটা দিন ধরে। এবারের আইপিএলে দল পাননি তিনি। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নেমেও ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি। 

তবে ট্রাভিস হেড আর ডেভিড ওয়ার্নারের পাশাপাশি ম্যাকগার্কের দলে থাকাও অনেকটা নিশ্চিত ধরে নিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যমের ভাষ্য, ম্যাকগার্ক থাকছেন না বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। ক্যানবেরা টাইমস, ফক্স স্পোর্টসসহ একাধিক গণমাধ্যম সেই খবরই প্রকাশ করেছে। 

অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক জর্জ বেইলি, টনি ডোডেমাইড এবং কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড তাদের প্রত্যাশিত স্কোয়াডের প্রতিই আস্থা রাখছেন। ক্যামেরন গ্রিন, অ্যাশটন অ্যাগার, নাথান এলিস, ম্যাথিউ ওয়েড বা জশ ইংলিশরা জায়গা পাচ্ছেন অনেকটা নিশ্চিত। তারা ২০২১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের ওপরেই আস্থা রাখতে আগ্রহী। 

ইএসপিএনকে দেয়া সাক্ষাতে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট অধিনায়ক টিম পেইন জানালেন, এই মুহূর্তে বিবেচনায় আছেন ট্রাভিস হেড এবং ডেভিড ওয়ার্নার। অবশ্যই ফ্রেজার ম্যাকগার্ক তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে। তার ফর্ম অবিশ্বাস্য। তবে ডেভিড ওয়ার্নার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে যা করছেন, আপনি তা চাইলেই মুছে ফেলতে পারবেন না। আর বিশ্বকাপ তার জন্য আদর্শ সময়।’ 

এদিকে ইনজুরি থাকলেও বিশ্বকাপে মিচেল মার্শকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী অস্ট্রেলিয়া। তার কাঁধেই নেতৃত্বের ভার থাকার কথা। যদিও আইপিএলে এসে ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে তাকে। 

স্টিভেন স্মিথ বাদ পড়ছেন এটা একপ্রকার অবধারিতই ছিল। টেস্ট এবং ওয়ানডে দলে দারুণ ছন্দে থাকলেও ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভুগতে হয়েছে তাকে।  স্মিথের জায়গায় মিডল অর্ডারে দেখা যাবে ক্যামেরন গ্রিন বা টিম ডেভিড-এর কাউকে দেখা যেতে পারে। অবশ্য একাদশে সুযোগের কথা বলতে গেলে গ্রিনের চেয়ে ডেভিডই হয়ত এগিয়ে থাকবেন। 

জেএ