জাদেজা-ধোনির ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি চেন্নাইয়ের
প্রতিপক্ষ লখনৌ সুপার জায়ান্টসের মাঠে খেলতে নেমে একেবারে নড়বড়ে শুরু পায় চেন্নাই সুপার কিংস। ফলে তাদের সম্মানজনক সংগ্রহ পাওয়া নিয়েও শঙ্কা ছিল। মাঝে অজিঙ্কা রাহানে ও রবীন্দ্র জাদেজা মিলে সেই অনিশ্চয়তা কাটিয়েছেন। যাতে শেষদিকে শান দিয়েছেন মঈন আলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর তাতেই লখনৌর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পুঁজি পেল চেন্নাই। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান।
লখনৌর মাঠ একানা স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের চেন্নাই। পিচ রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এখানকার কন্ডিশন কিছুটা পেস-সহায়ক। তাই রানের গণ্ডি ন্যূনতম ১৭০–২০০ এর মধ্যে রাখতে হবে, তবে এটিকেও যথেষ্ট বলা যাবে না। শেষপর্যন্ত সেই ন্যূনতম সীমানায় সফরকারীরা পা রেখেছে ধোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি ২৮ রান করেছেন। এছাড়া হলুদ শিবিরের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন জাদেজা। দুজনের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে এসেছে ৬৩ রান।
বিজ্ঞাপন
আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলে সেরা চারে অবস্থান ধরে রাখতে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে খেলতে নামে মুস্তাফিজুর রহমানের চেন্নাই। জয়ের জন্য প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল ব্যাটসম্যানদের কাঁধে। তবে চেন্নাইয়ের টপ অর্ডাররা সেই আশা পূরণ করতে পারেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র (০)। তিন নম্বরে নেমে রান পেলেন না অধিনায়ক রুতুরাজও। তিনি করলেন ১৩ বলে ১৭ রান।
— IndianPremierLeague (@IPL) April 19, 2024
চার নম্বরে নেমে চেন্নাইকে ভরসা দিলেন জাদেজা, তিনি ইনিংস মেরামতে নামেন আরেক ওপেনার অজিঙ্কা রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে। তবে থিতু হয়েও নিজের ইনিংস বেশি লম্বা করতে পারেননি অভিজ্ঞ রাহানে। ২৪ বলে ৫টি চার এবং ১টি ছক্কার মারে তিনি ৩৬ রান করেন। ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে স্ট্রাইক করতে গিয়ে ভাঙে রাহানের উইকেট, ফলে থেমে যায় জাদেজার সঙ্গে সঙ্গে তার ৩৫ রানের জুটি। শুরুর বিপর্যয়ের মতো মিডল অর্ডারেও একই পরিস্থিতিতে পড়ে চেন্নাই। শিভাম দুবে (৩) ও সামির রিজভীরা (১) ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দুজনেই ফিরেছেন নড়বড়ে শট খেলে।
ফলে নতুন করে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। নিজেদের ইনিংস শেষেও মাঝের ওভারগুলোর জন্য হয়তো সফরকারীরা আফসোসে পুড়ছে। সাত নম্বরে নেমে কিছুটা লড়াই চালান মঈন আলি। ইংলিশ অলরাউন্ডার ২০ বলে ৩টি ছক্কার বাউন্ডারিতে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে নেমে জাদেজার সঙ্গে জুটি বেধে দ্রুত রান তুলেন ধোনি। আরেকবার দেখালেন বুড়ো হাড়ের ভেলকি। মাত্র ৯ বলের ইনিংসে তিনি চেন্নাইয়ের দর্শকদের মনে রাখার মতো দুর্দান্ত স্মৃতি উপহার দিয়ে যান। ৩টি চার এবং ২টি ছক্কায় সাবেক চেন্নাই অধিনায়ক করেন ২৮ রান। আর তাতেই আইপিএল ক্যারিয়ারের পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক পূর্ণ হয়ে যায় ধোনির।
মূলত ধোনি এবং মঈনের শেষের ঝড়েই দৃশ্যপট বদলে যায়। ১৭ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৩ সংগ্রহ ছিল চেন্নাইয়ের। তবে মঈন ও ধোনির কল্যাণে শেষ ৩ ওভারেই ৫৩ রান তুলে নেয় দলটি। এছাড়া ৪০ বলের ইনিংসে জাদেজা ৫টি চার এবং ১টি ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
লখনৌর হয়ে সফলতম বোলার ক্রুনাল পান্ডিয়া ৩ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ২ উইকেট নেন। ৭ রানে ১ উইকেট শিকার করেন মার্কাস স্টয়নিস। এছাড়া মহসিন খান, যশ ঠাকুর ও রবি বিষ্ণয় একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
এএইচএস