গত রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় পাঞ্জাব কিংসের টপ অর্ডার। তবে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েও লড়াই করেন আশুতোষ শর্মা। ২৮ বলে ৬১ রান করে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে না পারলেও ক্রিকেট ভক্তদের মন জিতে নিয়েছেন এই ব্যাটার।

এমনকি বিপক্ষ দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াও তার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আশুতোষ দুর্দান্ত। মাঠে নেমেই ওই ভাবে খেলতে পারা সহজ নয়। প্রায় সব বল ব্যাটের মাঝে খেলেছে সে। আশুতোষ কী করতে চায়, সে ব্যাপারে খুব স্পষ্ট ছিল। এটা আমার ভাল লেগেছে।’

আশুতোষকে আগেও এমন ইনিংস খেলতে দেখা গেছে। সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে যুবরাজ সিংয়ের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে রেলওয়েজের হয়ে মাত্র ১১ বলে অর্ধশতরান করেছিলেন আশুতোষ। ১টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১২ বলে ৫৩ রান করে আউট হয়েছিলেন আশুতোষ।

২৫ বছর বয়সী আশুতোষ আগে মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলতেন। ২০১৯ সালে রাজস্থানের বিপক্ষে মাত্র একটি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেন তিনি। সুযোগ না পাওয়ায় ২০২৩-২৪ সালে মধ্যপ্রদেশ থেকে রেলওয়েজ আসেন তিনি। রেলওয়েজের হয়ে ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন আশুতোষ। করেছেন ২৮৯ রান।

মধ্যপ্রদেশের হয়ে সুযোগ না পাওয়ার জন্য আশুতোষ আঙুল তুলেছিলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দিকে। যিনি এখন আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ। ঘরোয়া ক্রিকেটে মধ্যপ্রদেশের কোচ পণ্ডিত। যদিও আশুতোষ তার নাম নেননি।

তিনি বলেন, ‘আমি জিম থেকে সোজা হোটেলে নিজের ঘরে ফিরতাম। ধীরে ধীরে অবসাদে চলে যাচ্ছিলাম। কী ভুল করেছি সেটা কেউ বলছিল না। মধ্যপ্রদেশে নতুন কোচ এসেছিলেন। তার পছন্দ না হলে দলে কেউ সুযোগ পেত না। প্রস্তুতি ম্যাচে আমি ৪৫ বলে ৯০ রান করেছিলাম। তার পরেও আমাকে দলে নেওয়া হয়নি।’

এইচজেএস