নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরালেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। তাদের পেসে পুড়ে ছাই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ব্যাটিং লাইনআপ! দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল চার ব্যাটার। তাতে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই অলআউট দল। আবাহনীর জয়ের জন্য বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়। ১০ উইকেটের জয়ে লিগের প্রথম পর্ব শেষ করেছে আবাহনী।

এই জয়ে লিগের প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে পূর্ণ ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে সুপার লিগে খেলবে আবাহনী। প্রথম পর্বে পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ায়, শক্ত অবস্থানে থেকে সুপার লিগে খেলতে নামবে দলটি। ছয় দলের সুপার লিগে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বির চেয়ে ছয় পয়েন্টে এগিয়ে আবাহনী।

এই পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে সুপার লিগে খেলবে শেখ জামাল এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নিজেদের শেষ ম্যাচে জিততে পারলে আট জয় নিয়ে সুপার লিগে খেলবে মোহামেডানও। 

১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ২২ ওভার ৪ বলে ৮৮ রানে অলআউট হয় শেখ জামাল। জবাবে খেলতে নেমে ১০ ওভার ২ বলে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আবাহনী।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ। বিজয় অপরাজিত থেকে ছেন ২২ বলে ৩৭ রান করে। আর নাঈম পেয়েছেন ফিফটির দেখা। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে অপরাজিত ৫৩ রান করেছেন এই ওপেনার। তাতে ১০ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে আবাহনী।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর পেসারদের তোপের মুখে পড়ে শেখ জামাল। তবে সাইফ হাসান কাউন্টার অ্যাটাকের চেষ্টা করেন। তাতে ১০ বলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। আরেক ওপেনার সৈকত আলি করেছেন ৩২ বলে ২৩ রান।

দুই ওপেনারই দুই অঙ্ক স্পর্শ করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে এর পরের তিন ব্যাটার ফিরেছেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। শেষ দিকে তাইবুর রহমানের ১৪ ও ইয়াসির আলি চৌধুরীর ১৭ রান করেছেন। তারপরও একশর আগেই অলআউট হয়েছে দল।

আবাহনীর হয়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তাছাড়া তাসকিন আহমেদ ও তানভির ইসলাম দুইটি উইকেট পেয়েছেন।

এইচজেএস