আইপিএলে সর্বোচ্চ দামের ইতিহাস গড়ে মিনি নিলামে বিক্রি হয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক। ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কেনার পর চলমান সপ্তদশ আসরে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে তুলেছেন। যদিও নয় বছর পর তার আইপিএলে ফেরাটা সুখকর হয়নি। প্রথম দুই ম্যাচে ১০০ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য। অবশেষে গতকাল তৃতীয় ম্যাচে উইকেটের দেখা পেয়েছেন, ৩ ওভারে ২৫ রানে দুটি শিকার করেন স্টার্ক।

এর আগের ২ ম্যাচে লজ্জার ‘সেঞ্চুরি’ করায়, অস্ট্রেলিয়ান এই তারকা পেসার অতিরিক্ত দামের চাপে পড়েছেন কি না সেই প্রশ্ন উঠেছিল। বেশি মূল্য পাওয়া একধরনের চাপ বলে মনে করেন বিশ্বকাপজয়ী অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক, ‘তার (স্টার্ক) চড়া মূল্যই তাকে চাপে ফেলবে। যখন কেউ সবচেয়ে বেশি টাকা পায় তার কাছে প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি।’

তবে দামের কারণে চাপে পড়েছেন বলে মনে করেন না স্টার্ক। উল্টো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটটিকে নিষ্ঠুর বলে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘আমি আগেও বলেছি, এটা (প্রাইসট্যাগ নিয়ে) আমার কাছে কিছু যায় আসে না। এটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, এই ফরম্যাটটি নৃশংস এবং এই খেলায় আপনার কিছুটা ভাগ্যেরও প্রয়োজন পড়ে। কারণ কিছু বল এজ হয়ে অন্যদিকে চলে যায়, কিছু আবার ক্যাচ ড্রপ হয়। সবমিলিয়ে আমরা তিনটি ম্যাচ জিতেছি, তাই ব্যক্তিগত অবদান একপাশে রেখে দলের জয় উদযাপন করা যাক। মার্শ ও ওয়ার্নারের উইকেট নেওয়াটা ভালো ছিল।’

অস্ট্রেলিয়ান গতিতারকা আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশেষত বোলারদের জন্য বেশ কঠিন। যেখানে মাঠের কন্ডিশন এবং স্কোরের পরিসংখ্যান দেখতে হয়। তাই সবমিলিয়ে ভাগ্যের প্রয়োজন এই ফরম্যাটে। এখানে খুব দ্রুত পরবর্তী বলের জন্য প্রস্তুত হতে হয়। কারণ ম্যাচ খুব সময়নিষ্ঠ ও দ্রুত চলে। তবে এটা ঠিক শুরুটা যেমন হয়েছে, আমি তেমনটা চাইনি। তবে আমরা তিনটি ম্যাচই জিতেছি, ব্যাট-বলে দলীয় অবদান খুব ভালো ছিল আমি মনে করি।’

গতকালের ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষেও ‍শুরুটা ভালো ছিল না স্টার্কের। তবে এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হওয়া কলকাতার পেসার বৈভব অরোরা বেশ ভালো বল করে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ২৭ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন এই ২৬ বছর বয়সী পেসার। বৈভব অরোরার বোলিং নিয়ে মিচেল স্টার্ক বলেন, ‘শর্ট বোলিং তার শক্তি। বৈভব দুর্দান্ত বল করেছে, খুব ভালো ব্যবহার করেছেন শর্ট বলের। আমরা প্রশিক্ষণ এবং বোলিং মিটিংয়েও বেশি কথা বলি।’

আইপিএলের এবারের মৌসুমে ফিরে নিজের প্রথম ম্যাচে স্টার্ক চার ওভারে ৪৭ রান দেন। পরের ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রান দেন আরও বেশি—৪ ওভারে ৫৩। গতকালও প্রথম ওভারে খরচ করেন ১১ রান। এরপর নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে ফেরান স্বদেশি মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। যা রান খরচের ভিড়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে অজি তারকাকে। যদিও অফফর্ম সেভাবে বিবেচনায় আসেনি তিনটি ম্যাচেই কলকাতা টানা জয় পাওয়ায়।

এএইচএস