দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ টপ অর্ডার, হারের পথে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কার পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চাপে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ বাংলাদেশি টপ অর্ডার। এবার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সাকিব আল হাসান-লিটন দাসরা থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাতে চতুর্থ দিন শেষে চট্টগ্রামে হারের পথে স্বাগতিকরা।
চতুর্থ দিনশেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান। বাংলাদেশের জয়ের জন্য আরও প্রয়োজন ২৪৩ রান। তাদের হাতে আছে ৩ উইকেট।
বিজ্ঞাপন
আগের দিনের ৬ উইকেটে ১০২ রান নিয়ে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। আজকের দিনে ৪০ ওভার ব্যাটিং করে ইনিংস ঘোষণা করেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ তখন দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৫৭ রান। সবমিলিয়ে তাদের লিড ৫১০ রানের
৫১১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দেখে-শুনে শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ দুই ওপেনারই আজ ভালো শুরু পেয়েছিলেন। তবে কেউই সেটা চালিয়ে যেতে পারেননি। ৩২ বলে ২৪ রান করে মাহমুদুল হাসান জয় সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার জাকির হাসানও। প্রথম ইনিংসে ফিফটি পেলেও এবার থেমেছেন ১৯ রানে।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় ৫১ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে যখন চাপে দল, তখন বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত-মুমিনুল হক। এ দুজনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেন তারা। ২০ রান করে শান্ত বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি।
তবে আরেক প্রান্তে মুমিনুল দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। ৫৫ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। তবে এর পরপরই ফেরেন সাজঘরে। মুমিনুল ফেরার পর লিটনকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন সাকিব আল হাসান। দুই ব্যাটারই থিতু হয়েছিলেন। খোলস ছেড়ে হাত খুলে খেলতে শুরু করেছিলেন সাকিব। তার ব্যাটে বড় রানের স্বপ্ন দেখছিল দল। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারলেন না এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
ইনিংসের ৫০তম ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস। চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে পরে বের হয়ে যাওয়ার সময় পয়েন্টে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব, তবে আউটসাইড এডজে বল চলে যায় গালিতে থাকা ফিল্ডারের কাছে। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৩ বলে ৩৬ রান করেছেন সাকিব।
সাকিবের পথেই হেঁটেছেন লিটনও। তিনিও ফিরেছেন ত্রিশের ঘরে। লাহিরু কুমারার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৭২ বলে তিনি করেছেন ৩৮ রান। ধারাবাহিক ব্যর্থ শাহাদাত হোসেন দিপুকে লোয়ার মিডল অর্ডারে খেলিয়েও কোনো সুফল মিলেনি। সাতে নেমেও ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি এই তরুণ ব্যাটার। ৩৪ বলে করেছেন ১৫ রান।
দিপু ফেরার পর দিনের বাকিটা সময় তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদেই পার করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৪ বলে ১০ রান করে অপরাজিত আছেন তাইজুল। আর মিরাজ দিন শেষ করেছেন ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে।
এইচজেএস