সময়টা মোটেই অনুকূলে নেই হার্দিক পান্ডিয়ার। দল হিসেবে ভাল অবস্থানে নেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দুই ম্যাচ পরেও জয় নেই দলের। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে পান্ডিয়ার ব্যক্তিগত অফফর্ম। ব্যাটে-বলে ভালো সময় তো যাচ্ছেই না, বরং রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তার অধিনায়কত্বও মানতে পারছেন না অনেকেই। খেলার মাঠে কুকুর প্রবেশ করলেও হার্দিকের নামে স্লোগান দিচ্ছেন দর্শকরা। 

আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং মন্তব্য তো আছেই। ঘরের এই অশান্তিই আইপিএলের অন্যতম সফল এই দলে বিভেদ ডেকে আনছে বলে মন্তব্য অনেকেরই। আর এসব মন্তব্য পছন্দ হচ্ছে না ভারতেরই আরেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অভিজ্ঞ এই অফস্পিনার সরাসরিই বলেছেন, হার্দিকের সঙ্গে যা হচ্ছে তা ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি নয়। 

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এই স্পিনার বলেন, ‘মানুষের মনে রাখা উচিত, এই খেলোয়াড়গুলো কোনো দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা আমাদের দেশ। সমর্থকদের যুদ্ধ কখনো নোংরা পথে পরিচালিত হওয়া উচিত নয়। আমি এটা আগেও বলেছি, এটা সিনেমার সংস্কৃতি, এটা শুধু সেখানে ঘটে।’

বাইরের দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির কথাও নিজের আলোচনায় যুক্ত করেছেন অশ্বিন, ‘আপনি কখনো অন্য দেশে এমন যুদ্ধ দেখেছেন? উদাহরণ হিসেবে যদি বলি, জো রুট, জ্যাক ক্রলির সমর্থকদের মধ্যে কি কখনো লড়াই হয়েছে? অথবা জো রুট ও জস বাটলারের সমর্থকেরা কি নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে? এটা স্রেফ পাগলামো। আপনি কি কখনো দেখেছেন অস্ট্রেলিয়ায় স্টিভ স্মিথ ও প্যাট কামিন্সের সমর্থকেরা লড়াই করছে?’

এমনকি নিজ দেশের কিংবদন্তিদের উদাহরণও টেনেছেন অশ্বিন, ‘আমরা এমন করছি, যেন এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। শচীন টেন্ডুলকারের অধীন সৌরভ গাঙ্গুলি খেলেছে, গাঙ্গুলির অধীন টেন্ডুলকার খেলেছে। এই দুই ক্রিকেটারই আবার রাহুল দ্রাবিড়ের অধীন খেলেছে। এই তিনজনই আবার অনিল কুম্বলের অধীনে খেলেছে , আর সবাই মহেন্দ্র সিং ধোনির অধীনে খেলেছে। তারা যখন ধোনির অধীন খেলেছে, এসব ক্রিকেটার একেকজন মহাতারকা ছিল। ধোনিও কোহলির অধীন খেলেছে।’

জেএ