দুই মাস পর মাঠে ফিরেও চিরচেনা রূপে ধরা দিয়েছেন ভারতীয় তারকা বিরাট কোহলি। চলতি আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৪৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে গতকাল খেললেন ৫৯ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংস। যদিও ম্যাচটিতে হেরেছে বেঙ্গালুরু। তবে তিন খেলায় নিজেদের দ্বিতীয় হারের ম্যাচে কোহলি তিনটি রেকর্ড গড়েছেন।

গতকাল ঘরের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কলকাতাকে আতিথ্য দিয়েছে বেঙ্গালুরু। আগে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিকদের এক প্রান্ত আগলে রেখে লম্বা সময় ধরে পথ দেখিয়েছেন কোহলি। যদিও সেভাবে বিধ্বংসী সঙ্গ না পাওয়ায় তার ওপরই মূলত ম্যাচ টেনে নেওয়ার পুরো দায়টা পড়েছিল। ৫৯ বলের ইনিংসে ৪টি করে চার-ছক্কায় শেষ পর্যন্ত ৮৩ রান করেন কোহলি। আর এর মাধ্যমে তিনি ছক্কার রেকর্ড গড়ে ক্রিস গেইলকে পেছনে ফেলেছেন।

আইপিএলে এক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সর্বোচ্চ ২৩৯ ছক্কার রেকর্ড ছিল এই ‘ইউনিভার্স বস’-এর। বেঙ্গালুরুর হয়ে গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তির সেই রেকর্ড এদিন ভেঙে দেন কোহলি। দলটির জার্সিতে আইপিএলে তার ছয়ের সংখ্যা ২৪১টি। এরপর রয়েছেন তার সাবেক সতীর্থ ও দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি এবি ডি ভিলিয়ার্স (২৩৮)। বাকিরা অনেক পরে, এই দলের হয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৬৭টি এবং ফাফ ডু প্লেসির ৫০টি ছয় হাঁকিয়েছেন।

কোহলি আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার তালিকায়ও চার নম্বরে উঠে এসেছেন। এর মাধ্যমে চেন্নাই সুপার কিংসের কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনির ২৩৯টি ছয়কে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। গতকালের ম্যাচের পর কোহলির ছয় ২৪১টিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। আইপিএলের সবচেয়ে বেশি ছয় রয়েছে গেইলের (৩৫৭)। এরপর আছেন রোহিত শর্মা (২৬১)। এরপর যথাক্রমে আছেন ডি ভিলিয়ার্স (২৫১), কোহলি ও ধোনি (২৩৯)। এদের মধ্যে গেইল এবং ডি ভিলিয়ার্স আর আইপিএলে খেলেন না। হয়তো এই মৌসুমেই ডি ভিলিয়ার্সকে টপকে তিনে উঠে যাবেন কোহলি!

এছাড়া ম্যাচটিতে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক। এতদিন আইপিএলে সর্বোচ্চ ১০৯টি ক্যাচ ধরার রেকর্ড ছিল সুরেশ রায়নার। অবসর নেওয়া সাবেক ভারতীয় এই অলরাউন্ডার এই রেকর্ড গড়তে ২০৫টি আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন। তার সমান ক্যাচ (১০৯) ধরে সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন কোহলি। তবে তিনি ম্যাচ খেলেছেন বেশি (২৪০)। ক্যাচ ধরার এই তালিকায় এরপর আছেন– কাইরন পোলার্ড (১০৩), রোহিত শর্মা (৯৯), রবীন্দ্র জাদেজা (৯৭) ও শেখর ধাওয়ান (৯৬)। 

এএইচএস