২০২৩ সালের বিপিএলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছিলেন পেসার নাহিদ রানা। এরপর খুলনা টাইগার্সের হয়ে বল হাতে তুলেছিলেন গতির ঝড়। এরপর গেল বছর ডিপিএল, বিসিএলেও তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। চলতি বছরের বিপিএলেও খুলনার হয়ে খেলেছেন রানা। বল হাতে পেশির জোর দেখানো এই তরুণ পেসার এবার ডাক পেলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্য ডাক পেয়েছেন রানা। দলে ডাক পেয়েই ঢাকা পোস্টকে তিনি নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। ২১ বছর বয়সী এই পেসার বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগতেছে। সবারই তো ইচ্ছা থাকে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার। ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক খুশি।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে মাত্র তিন মৌসুম খেলছেন রানা। তবে এর ভেতরই তিনি ১৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৬৩ উইকেট শিকার করেছেন। সেই ফর্ম অব্যাহত রাখতে চান জাতীয় দলেও। প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার ডাক পাওয়ার তিনি প্রথম জানিয়েছেন তার ভাইকে। এ নিয়ে রানা বলেন, ‘আমি যখন নিশ্চিত হই (দলে ডাক পাওয়ার কথা), তখন আমি আমার পরিবারের মধ্যে সবার আগে ভাইয়াকে জানিয়েছি। তারপর বাবা-মাকে বলি।’

সাধারণত বড় ভাই মানে বাবার মতোই আরেকটি বট-বৃক্ষের ছায়া। রানার ক্ষেত্রেও তার ভাই তেমন। ভাইকে আগে জানানোর কারণও জানিয়েছেন রানা, ‘আমার এতদূর আসার পেছনে আমার ভাইয়ার অনেক অবদান রয়েছে। সবসময় আমাকে সাপোর্ট করেছে ভাইয়া। যে কারণে ভাইকে সবার আগে জানিয়েছি।’

ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন তরুণ এই পেসার। এরপর নিজেকে সামলে নিয়ে রানা বলেন, ‘আমি আমার ভাইকে নিয়ে যত বলব তত কম হয়ে যাবে। আমার ভাই আমার জন্য সবকিছু করেছে। একদম ছোটবেলা থেকেই আমার পড়াশোনা, খেলাধুলাসহ সব খরচ দিয়েছেন ভাইয়া। আজ জাতীয় দলে ডাক পেলাম, এখানেও ভাইয়ের অবদান বেশি। ভাই দুবাই থাকতেন, সেখান থেকেও সবসময় আমাকে সাহস জুগিয়েছেন, দিয়েছেন ভরসা। তবে সবমিলিয়ে এখন পরিবারের সবাই খুশি।’

নাহিদ রানার বড় ভাই

এদিকে, রানাকে জাতীয় দলে নেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিসিবির নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘রানা দারুণ সম্ভাবনায় পেসার। সম্ভবত সে বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার এবং খাড়াভাবে বাউন্সও দিতে পারে। যদিও এটি এখনও তার শুরুর সময়, রানার প্রথম শ্রেণির রেকর্ডও দুর্দান্ত।’

উল্লেখ্য, আগামী ২২ মার্চ থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। পরে ৩১ মার্চ থেকে দ্বিতীয় টেস্ট হবে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। 

এসএইচ/এএইচএস