খুব বেশিদিন হয়নি পাকিস্তান জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ভারতের মাটিতে হওয়া সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়েন বাবর আজম। এরপর দুই ফরম্যাটে পাকিস্তান নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করে। টি-টোয়েন্টির গুরুভার শাহিনের কাঁধে উঠলেও, তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না পিসিবি। সে কারণে তিনি অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

বর্তমানে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাহিন আফ্রিদি। যদিও তার নেতৃত্বে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি এবার টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে। এর আগে জাতীয় দলেও তার নেতৃত্বে আশানুরূপ সাফল্য পায়নি পাকিস্তান। যদিও এখন পর্যন্ত কেবল একটি সিরিজে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত সেই সিরিজে তারা ৪-১ ব্যবধানে হেরেছিল।

সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, পিসিবির কেউ কেউ মনে করছেন ২৩ বছর বয়সী শাহিন আফ্রিদি দলের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ তরুণ এবং তার আরও পরিপক্কতা প্রয়োজন। যদিও বোর্ডের কয়েকজন সদস্য মনে করছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে নেতৃত্ব পরিবর্তন সঠিক কোনো সিদ্ধান্ত হবে না, যার প্রভাব পুরো দলের পারফরম্যান্সে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে পিসিবি চেয়ারম্যানের (মহসিন নাকভি) ওপর।

শাহিন আফ্রিদিকে সরানো হলে, পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টির দায়িত্বে কে আসতে পারে তার সম্ভাব্য নামও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এক্ষেত্রে তারা এগিয়ে রেখেছে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। এমনকি সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমও নতুন করে পাকিস্তানের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের নেতৃত্ব পেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। বাবরের নেতৃত্বে পিএসএলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে পেশাওয়ার জালমি। দুইয়ে রয়েছে রিজওয়ানের দল মুলতান সুলতান্স।

গত নভেম্বরে বাবরের পদত্যাগের পর টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান জাতীয় দলের অধিনায়ক হন শাহিন আফ্রিদি। কিন্তু তার নেতৃত্বের শুরুটা সুখকর হয়নি। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে কিউইদের বিপক্ষে পাকিস্তান হেরেছে ৪–১ ব্যবধানে। যদিও ওই সময়ে টেস্ট ফরম্যাটেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ধবলধোলাই হয়েছিল পাকিস্তান। অন্যদিকে, শাহিনের অধিনায়কত্বে লাহোর পিএসএলের গত দুই আসরে টানা শিরোপা জিতেছিল।

তবে এই মুহূর্তে নেতৃত্ব বদলও পাকিস্তানের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ আগামী ১ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে। সবমিলিয়ে তিন মাসেরও কম সময় আছে প্রতিযোগি দলগুলোর হাতে। ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান পড়েছেন ‘এ’ গ্রুপে। সেখানে তাদের অপর তিন সঙ্গী আয়ারল্যান্ড, স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। পাকিস্তান-ভারতের বহুল কাঙ্ক্ষিত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ জুন, নিউইয়র্কের আইজেনহাওয়ার পার্কে।

এএইচএস