জাকেরের পর মেরুন জ্যাকেট পেলেন রিশাদ, কি এর বিশেষত্ব?
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম মেয়াদে কোচ থাকাকালে একটি ক্রিকেটীয় পরিভাষা চালু করেছিলেন। তা হচ্ছে ‘ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার’। এর মাধ্যমে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ক্রিকেটার খোঁজার দিকেই তার মনোযোগ ছিল। দ্বিতীয় মেয়াদেও টাইগারদের দায়িত্ব নিয়ে তিনি সেটাই বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। চালু করেছেন ‘মেরুন জ্যাকেট’ পুরস্কার। যা একে একে সাকিব আল হাসান, মেহেদী মিরাজ হয়ে উঠেছে জাকের আলি অনিকের গায়েও।
ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগে থেকেই সেরা ফিল্ডারের জন্য ‘গোল্ডেন স্টাম্প’ পুরস্কার চালু রয়েছে। সেরকই একটি স্বীকৃতি মেরুন জ্যাকেট। এমন ভাবনার শুরুটা কিভাবে হয়েছিল, বিসিবি প্রকাশিত এক ভিডিওতে জানালেন টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল, ‘এই মেরুন জ্যাকেটের কনসেপ্ট এসেছে একটা গান থেকে। যেখানে একজনকে দেখা যায় একটা মেরুন জ্যাকেট পরে পুরো ব্যান্ডটাকে উৎসাহিত করে। প্রথমে ব্যান্ডটা খুব নার্ভাস থাকে, তাদের ট্রায়াল চলে ওই সময়। তখন হঠাৎ করে একজন এসে গানটা এত সুন্দর করে গায়, সবাইকে পুরো উত্তেজিত করে ফেলে। ওই জিনিসটাই আমাদের এখানে এই কনসেপ্ট নিয়ে এসেছে।’
বিজ্ঞাপন
এ নিয়ে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, ‘কিয়ারার (আমেরিকান পপ-শিল্পী) ওই গানের ভিডিও দেখে মনে হচ্ছিল, আমাদের দলটাও তো এমন, সবাই অনেক চিন্তাগ্রস্ত থাকে। সেই গানে একজন চেয়ারের ওপর ওঠে গান ধরে, তাতে সবাই উজ্জীবিত ও নির্ভার হয়ে গাইতে থাকে। মেরুন জ্যাকেট পরা ব্যক্তি রুমের আবহ বদলে দেয়। এই মানুষটার ছোট্ট কাজই পুরো পরিস্থিতি বদলে দেয়।’
আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভারত বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে টাইগারদের হয়ে দারুণ পারফর্ম করার পর মেরুন জ্যাকেটটি মিরাজের গায়ে ওঠে। তবে জ্যাকেটটি আনা হয়েছিল আরও আগে, যখন হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে হেড কোচ হয়ে আসেন। এরপর বিভিন্ন সিরিজেও ইম্প্যাক্ট ফেলা ক্রিকেটারদের ওই জ্যাকেট পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যেটি স্থায়ী থাকে পরবর্তী ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার পাওয়ার আগপর্যন্ত।
আরও পড়ুন
এভাবে সাকিব, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসরাও পরেছিলেন ওই বিশেষ জ্যাকেট। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া ব্যাটার জাকের আলিও মেরুন জ্যাকেটটি পেয়েছিলেন। এরপর শেষ ম্যাচে ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করার ওই স্মারক পান রিশাদ হোসেন। টাইগারদের হারের ম্যাচে তিনি ব্যাট হাতে ৩০ বলে ৫৩ রান করেন। এভাবে এই জ্যাকেট পরার সুযোগ দ্বাদশ খেলোয়াড়ও পেতে পারেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম।
এসএইচ/এএইচএস