চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে নতুন জটিলতায় পাকিস্তান
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরবর্তী আসর আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। সব ঠিক থাকলে আগামী বছর (২০২৫) বাবর আজম ও শাহিন আফ্রিদিদের মাটিতে বৈশ্বিক এই মেগা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তার আগে নানা জটিলতার মুখে পড়েছে পাকিস্তান। সবার আগে তাদের ভাবতে হচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারতের কথা। তারা পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হবে কি না তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে!
গত বছরের ডিসেম্বরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসির সভায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন স্বত্ব নিয়ে চুক্তি করেছিল। সে অনুসারে তারা ইতোমধ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতিও শুরু করেছে। তিনটি স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য বড় অঙ্কের আর্থিক প্রনোদনা হাতে নিচ্ছে পিসিবি। তবে তার আগে তাদের বাহ্যিক কিছু জটিলতার সমাধান করতে হবে। ভারত যদি পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি না হয়, তবে সর্বশেষ এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলে চলে যেতে পারে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও।
বিজ্ঞাপন
সূত্রের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ বলছে, ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলো নিজেদের মাটিতে খেলতে চায়। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আয়োজক পাকিস্তান। এক্ষেত্রে তারা বিকল্প কোনো অপশনও বেছে নিতে পারে। ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভেন্যু নির্ধারণ করতে পারে পিসিবি।
— Saleem Khaliq (@saleemkhaliq) March 10, 2024
এদিকে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসতে পারে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমটির। কিন্তু একই সময়ে বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টও চলমান থাকে। পাকিস্তানেরই নিজ দেশের পিএসএলসহ, বাংলাদেশের বিপিএল, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০, আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টির আসরও চলে ওই সময়। পিসিবিও জানে না যে তাদের পরবর্তী দশম পিএসএল আসর কখন শুরু হবে। বর্তমানে নবম আসরের রাউন্ড রবিন লিগের খেলা চলছে।
পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি আগামী সপ্তাহে হতে যাওয়া আইসিসির সভায় বিষয়গুলো উত্থাপন করতে পারেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সমাধান পেতে তার নেতৃত্বে পিসিবি আইসিসির পাশাপাশি ভারতীয় বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলতে চায়। যাতে করে ভারত পাকিস্তানে খেলতে যাবে কি না, কিংবা না গেলে বিকল্প ভেন্যু কোথায় হবে তা নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের আপত্তির মুখে এশিয়া কাপের আসর বসে হাইব্রিড মডেল অনুসারে। পাকিস্তান থেকে সরিয়ে টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচ আয়োজন করা হয় শ্রীলঙ্কায়। সেই টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর আরও ৬ মাস হতে চললেও এখনও কিছু বিষয়ের জটিলতা রয়ে গেছে। এশিয়া কাপ চলাকালে দুই দেশে আসা–যাওয়া বাবদ ছিল চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা। কিন্তু সেই ধাক্কা সামাল দিতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছেই বাড়তি অর্থ চেয়েছিল পিসিবি। কিন্তু পিসিবিকে এই বাড়তি অর্থ দিতে নারাজ এসিসি। আর এই কারণেই শ্রীলঙ্কার কাছে ভাড়া নেওয়া ভেন্যুর টাকাও ঝুলিয়ে রেখেছে পাকিস্তান।
এএইচএস