প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারানোর লক্ষ্যে আজ ৩য় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। এমন সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, সেটি জানতে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

যদিও টাইগারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে ব্যাট করা লংকানরা গড়েছে বড় স্কোর। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেছেন কুশল মেন্ডিস (৮৬ রান)। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সফরকারীরা তুলেছে ৭ উইকেটে ১৭৪ রান।

অবশ্য ডেথ ওভারে বাংলাদেশের বোলিং ছিল দারুণ। ফলে দুইশ রানের দিকে ছোটা লংকানরা বেশিদূর যেতে পারেনি। শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩৯ রান তুলতে পারে তারা। এর পেছনে অবদান ছিল ১৬ ও ১৭তম ওভারের। দুই ওভারে রিশাদ হোসেন ও তাসকিন দেন যথাক্রমে ৩ ও ২ রান।

এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টানা তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আগে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কানরা পাওয়ারপ্লেতে প্রথম উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায়। দলীয় ১৮ রানেই ওপেনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। সেই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৪ রান এনে দেন কামিন্দু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিস। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সেই জুটি ভেঙেছেন রিশাদ। তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শরিফুলের হাতে ক্যাচ দেন কামিন্দু (১২)।

মাঝের ওভারগুলোতে লঙ্কান ইনিংসের ভিত গড়ে দেওয়া রান আসে কুশলের ব্যাটে। একপর্যায়ে ৩৫ বলে তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন। তবে তার সঙ্গে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেওয়া ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার শর্ট লেংথের বলে আপার-কাট করতে চেয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক। তবে ১৩ বলে ১৫ রান করে হাসারাঙ্গা ডিপ থার্ড বাউন্ডারিতে শরীফুলের তালুবন্দী হয়েছেন। এরপর আর কোনো জুটি বড় হয়নি সফরকারীদের।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিসের বিপক্ষে বাংলাদেশ বোলাররা একটু এলোমেলোই ছিলেন, তবে তারা জুটি ভাঙার উপায় বের করে নেন ঠিকই। একপর্যায়ে নিজের ক্যারিয়ারসেরা রান করে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির পথেও ছিলেন মেন্ডিস। কিন্তু তাসকিনের করা ওভারে একাধিক ডট বল হওয়ায় চাপে পড়ে যান তিনি। সেই চাপ কমাতে তাসকিনের শর্ট লেংথের বল মেন্ডিস ঘুরিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। ফলে তার ইনিংস থামে ৮৬ রানে। ৫৫ বলের ইনিংসে তিনি ৬টি করে চার–ছয় মারেন। তাদের হয়ে সেভাবে বলার মতো আর কেউ রান করেননি।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন ও রিশাদ। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ ও শরিফুল।

এএইচএস