‘তার কথাটা সবসময় আপনারা ভুলে যান, আপনারা কেউ কিন্তু আসলে কখনোই জিজ্ঞেস করেন না। ছেলেটার হয়ত চেহারা একটু কালো, এই কারণে আমার মনে হয়, বোর্ডও তাকে দেখে না ঠিকমতো।'—সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ব্যাট হাতে নজরকাড়া জাকের আলি অনিক শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলে ডাক না পাওয়ায় এভাবেই ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।

অবশ্য তরুণ এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে বেশিসময় অপেক্ষা করতে হলো না। সিরিজ শুরুর আগমুহূর্তে স্পিনার আলিস আল ইসলামের ইনজুরিতে কপাল খুলে যায় তার। শেষ মুহূর্তে দলে সুযোগ পাওয়ার পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই আজ একাদশে সুযোগ পেয়ে গেলেন সিলেটের এই ঘরের ছেলে। এর আগে গেল বছর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন যদিও, তবে সেগুলো ছিল এশিয়ান গেমসে। এবার মূল দলের একাদশে ডাক পেয়ে গেলেন।

সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ফিনিশারের ভূমিকায় জাকের আলির ব্যাটিং ছিল প্রশংসনীয়। ১৪ ম্যাচ খেললেও ব্যাটিং পেয়েছেন ১০ ইনিংসে। টেল–এন্ডারে ব্যাট করেও তার ইনিংস দলের জন্য কার্যকরী ছিল। ১০ ইনিংসে ৯৯.৫ গড় ও ১৪১.১৩ স্ট্রাইকরেটে ১৯৯ রান করেছেন জাকের। বিপিএলে ভালো খেলেই জাতীয় দলে সুযোগ পেলেন। 

দলে ডাক পাওয়ার পর বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলছিলেন,‘ছোটবেলা থেকেই জাতীয় দলে খেলার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সবসময় ইচ্ছা ছিল পরিপূর্ণ হয়ে নিজেকে পরিপূর্ণ করেই জাতীয় দলে আসা। আলহামদুলিল্লাহ বিপিএলে ভালো পারফর্মম্যান্সের কারণে সুযোগ হয়েছে। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার। শ্রীলঙ্কা সিরিজে টার্গেট থাকবে যেরকম টিম প্ল্যান দেবে।’

এরপরেই জানান, নিজের আবেগ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান জাকের, ‘অনূভুতি একদম স্বাভাবিক। কারণ আমি আগেও বলেছি যে ইমোশন কন্ট্রোল করে চলি সবকিছুতে। আমি একদম নরমালি ছিলাম। আসলে খুশি হওয়ার কোনো কিছু নেই, আমি সবসময় চিন্তা করি যে ভালো কিছু করতে হবে। খারাপ করলে একদম হতাশ হই না, ভালো করলে একদম খুশি হয়ে যাই না। নরমাল স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করি। ইমোশন ধরে রাখার চেষ্টা করি।’ 

এফআই