বিপিএল শেষে কার পকেটে কত গেল?
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট বিপিএলের দশম আসরের পর্দা নেমে গেল আজ (শুক্রবার)। যেখানে তামিম ইকবালের হাত ধরে প্রথম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে তারা ২০২২ আসরের ফাইনালে হারের বদলা নিয়েছে। এই এক ম্যাচে বদলে গেছে দলগুলোর আর্থিক হিসাব। চ্যাম্পিয়ন বরিশাল পেয়েছে ২ কোটি টাকা।
লিটন দাসের কুমিল্লা রানার-আপ হওয়ায় তাদের পকেটে গেছে ১ কোটি টাকা। আগের আসরের মতো এবারও একই প্রাইজমানি রেখেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে তারা বরাদ্দ রেখেছে চার কোটি টাকার মতো। যেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ছাড়াও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের বিচারে ক্রিকেটারদেরও পকেট ভারী হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আজ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টসভাগ্য গিয়েছিল বরিশালের দিকে। ম্যাচ শেষেও চূড়ান্ত হাসি তারাই হেসেছে। আগে ব্যাট করা কুমিল্লা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সর্বোচ্চ ৩৮ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে। যা ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে কাইল মায়ার্সের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৩৯ রান করেছেন তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুন
দলের শিরোপাখরা ঘুচানোর দিনে তামিম নিজেও এক ঢিলে তিন পাখি মেরেছেন। চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পাশাপাশি হয়েছেন সেরা রানসংগ্রাহক ও টুর্নামেন্টসেরা। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। সেরা রানসংগ্রাহক হওয়ায় আরও ৫ লাখ টাকা গেছে তামিমের পকেটে। অন্যদিকে, তারই বরিশাল সতীর্থ মায়ার্স ২৬ রানে ১ উইকেট এবং ৪৬ রান ফাইনালসেরার পুরস্কার জিতেছেন। যার ফলে আর্থিক অঙ্কে এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
এদিকে, দশম আসরটি ভুলে যাওয়ার মতো পার করেছে দুর্দান্ত ঢাকা। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে সেসবকে ছাপিয়ে গেছেন ঢাকার ক্রিকেটাররা। টুর্নামেন্টজুড়ে ব্যক্তিগত আলোতে উজ্জ্বল শরিফুল ইসলাম ও নাঈম শেখ। বিপিএলে এবার ১২ ম্যাচ খেলে শরিফুল শিকার করেছেন ২২ উইকেট। মাত্র ১৫.৮৬ গড়ে উইকেট শিকার করেছেন। ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৮ এর কম। ফলে তার ধারেকাছেও ছিলেন না আর কোনো বোলার। সেরা উইকেটশিকারি হওয়ার পুরস্কার হিসেবে তিনি ৫ লাখ টাকা পেয়েছেন।
একই দলের হয়ে খেলেছেন নাঈম। ফলে এবার তার ম্যাচও শেষ হয়েছে শরিফুলের সঙ্গে। ১২ ম্যাচ খেলে তিনি অবদান রেখেছেন ৮টি উইকেটের পেছনে। যার কারণে তিনি টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেয়েছেন। এতে আর্থিকভাবে জিতেছেন ৩ লাখ টাকা। ব্যাট হাতেও এই আসরে দারুণ ধারাবাহিক ছিলেন নাঈম। ১২ ম্যাচে প্রায় ২৬ গড় নিয়ে তিনি ৩১০ রান করেছিলেন। যদিও তার স্ট্রাইকরেট ঠিক টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। এতে অবশ্য দলের ধারাবাহিক ব্যাটিং বিপর্যয়ও ভূমিকা রয়েছে।
এএইচএস