ফাইনালের আগের দিন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে হয়ে গেছে বিপিএলের দুই ফাইনালিস্টের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন। সেখানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কিংবা ফরচুন বরিশাল দুই দলের কোনো অধিনায়কই উপস্থিত ছিলেন না তাদের বদলে দুই দলের দুই প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি অনিক আনুষ্ঠানিকতা সারেন।

নিয়ম অনুযায়ী, কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস ও বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফটোসেশনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। লিটনের না থাকা হিসেবে ভ্রমণ ক্লান্তির কথা জানিয়েছেন কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তার মতে, এই পথ ভ্রমণ করে যাওয়া-আসার পর আগামীকালকের ম্যাচে সেটার প্রভাব পড়তে পারতো।

ফটোসেশনে লিটনের না থাকা নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, 'অবিচার হয়েছে কি না আমি জানি না। কালকে আমার ফাইনাল খেলা। এখন আমার অধিনায়ককে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন আড়াই ঘণ্টা জার্নি করে, আবার সে আড়াই ঘণ্টা-তিন ঘণ্টা জার্নি করে এখানে আসবে। তার তো ট্রফি দেখার চেয়ে ট্রফিটা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতিটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক না?’

এদিকে তামিম ইকবালও তার না থাকার কারণ ব্যাখা করেছেন। ফটোসেশনে থাকতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তামিম লিখেছেন, ‘বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বিসিবি। তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি, এজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।’

'গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।'-আরো যোগ করেন তামিম।

এইচজেএস