ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে আজ হয়ে গেছে বিপিএলের দুই ফাইনালিস্টের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন। তবে সেখানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কিংবা ফরচুন বরিশাল দুই দলের কোনো অধিনায়কই উপস্থিত ছিলেন নাকথা ছিল লিটন দাস বা তামিম ইকবাল আসবেন ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে অংশ নিতে। কিন্তু তাদের কাউকেই দেখা যায়নি এদিন। তাদের বদলে দুই দলের দুই প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি অনিক আনুষ্ঠানিকতা সারেন।

ফটোসেশনে দুই অধিনায়ক তামিম-লিটনের না থাকা নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ বিপিএলের প্রতি ক্রিকেটারদের গুরুত্বহীনতার দিকেও ইঙ্গিত করছেন। এর মধ্যেই নিজের উপস্থিত না থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

ফটোসেশনে থাকতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি। নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তামিম লিখেছেন, ‘বিপিএল ফাইনালের আগে ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনের জন্য আজকে চমৎকার একটি জায়গা বেছে নিয়েছিল বিসিবি। তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি, এজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।’

তামিম ও লিটনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিরাজ ও জাকের আলি।

ব্যাখ্যা দিয়ে তামিম লিখেছেন, গতকাল রাতেই আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদযাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসেবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল। 

আরও যোগ করেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সবসময়ই বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে ওপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে আজকের পরিস্থিতিতে আমার কোনো উপায় ছিল না এবং এজন্য আবারও দুঃখপ্রকাশ করছি।

এফআই