লম্বা স্পেলে একের পর এক বাউন্সার দিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাটার কখনো ডাক করছেন, কখনো খেলছেন পুল শট। হুক বা পুল আটকাতে লেগ গালিতে আছেন একজন ফিল্ডার। সেখানে জমা পড়ছে ক্যাচ। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটে অন্তত সাদা পোশাকে খুব চেনা এই দৃশ্য। যার জন্য এমন ব্যবস্থা, তিনি নিল ওয়াগনার। টেস্টে কিউইদের স্কোয়াডে তিনি ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। 

তবে নিল ওয়াগনারের এমন বাউন্স আর দেখা যাবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া হওয়া টেস্ট সিরিজে একাদশে তিনি থাকবেন না, নির্বাচকরা এই কথা জানানোর পরেই তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। 

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ওয়েলিংটনের বেসিং রিজার্ভে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কোচ গ্যারি স্টিডও। কান্নাভেজা চোখে ওয়াগনার জানালেন, এবার সরে যেতে চান তিনি। যার অর্থ, চলতি মাসে জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হওয়া সিরিজের শেষ ম্যাচটাই নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে শেষ ম্যাচ ওয়াগনারের জন্য।

ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়, কিউই ম্যানেজমেন্ট জানিয়ে দিয়েছে ওয়াগনারকে তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের জন্য বাছাই করছে না। এরপর কিউই কোচ স্টিডও তাকে জানিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের সিরিজের সেরা একাদশে থাকবেন না ওয়াগনার। এরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন ওয়াগনার। সংবাদ সম্মেলনে নিজেই জানিয়েছেন এই কথা, ‘আপনি যেখানে অনেক কিছু দিয়েছেন এবং যা থেকে অনেক কিছু পেয়েছেন, তা থেকে সরে যাওয়া সহজ নয়। কিন্তু এখন সময় এসেছে অন্যদের এগিয়ে যাওয়ার এবং এই দলকে এগিয়ে নেওয়ার। আমি ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলার প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি এবং একটি দল হিসেবে আমরা যা অর্জন করতে পেরেছি, তার জন্য আমি গর্বিত।’ 

৩৭ বছর বয়সী ওয়াগনার নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৬৪টি টেস্ট খেলেছেন। ক্যারিয়ারে মাত্র ২৭ দশমিক ২৭ গড় ও ৫২ দশমিক ৭ স্ট্রাইক রেটে ২৬০ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৫ উইকেট শিকার করেছেন ৯ বার। নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্টে পঞ্চম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি। যদিও ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে তাকে দেখা যায়নি কখনো। 

জেএ