বললেন অভিষিক্ত বর্ষন
‘চাপ নিতে চাইনি, নার্ভাসও লাগেনি’
ইনিংসের প্রথম বলটা করার সময় কি বর্ষনের বুকটা খানিক কেঁপেছিল? নাকি সাবলীল ছিলেন? যুব বিশ্বকাপে তাক লাগানো বর্ষন বললেন নার্ভাস লাগেনি তার। কিন্তু, তিনি কি জানতেন, টিভিসেটের সামনে বসা অগণিত দর্শকের বুকে কাঁপন ধরেছিল তার বোলিং এর সময়টায়। কুমিল্লার ভক্ত ছাড়াও সব ক্রিকেটপ্রেমীর মুখে হাসি ঝরেছিল তার প্রথম উইকেট প্রাপ্তির পর।
তর্কযোগ্যভাবে বাংলাদেশের এসময়ের সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ইনজুরিতে। এই সুবাদেই বাড়ি থেকে ডাক এসেছিল কদিন আগেই যুব বিশ্বকাপ পর্ব শেষ করা রোহানাতদৌলা বর্ষনের। রোববার যোগ দিয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্যাম্পে। আর সোমবার পেলেন বিপিএল অভিষেকের স্বাদ।
বিজ্ঞাপন
কে ভেবেছিল চলতি বিপিএলেই হবে অভিষেক। জল্পনা-কল্পনা ছাড়িয়ে রংপুরের বিপক্ষে স্ট্রাইক বোলার হিসেবেই কুমিল্লার হয়ে বল করেন বর্ষণ। ম্যাচে ৩ ওভার বল করে ২১ রান খরচায় সংগ্রহ করেন ১ উইকেট। অভিষেক আর বয়সের মানদণ্ডে তরুণ এই বোলার পাশমার্ক পাবেন নিশ্চিতভাবেই।
প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বর্ষণ ঢাকা পোস্টকে জানান ভালোলাগার অনূভুতি, 'অবশ্যই দেখেন ভাই এটা তো ভালো লাগারই বিষয়। দুইদিন আগেও তো জানতাম না যে বিপিএল খেলব। গতকাল অভিষেক হয়েছে সেটাও আবার এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। আমি চেষ্টা করেছি এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচে নার্ভটাকে ঠান্ডা রাখতে।'
বর্ষনের বয়সটাই উদ্দাম তারুণ্যের। কৈশোর পেরিয়েছে কি পেরোয়নি, এর আগেই হাজির দেশের ক্রিকেটের বড় মঞ্চে। কিন্তু এমন দিনেও মোটেও প্রেশার না নেওয়ার কথাই বললেন এই পেসার। এমনকি নার্ভাস মনে হয়নি, 'প্রেশার মোটেও নিতে চাইনি। রিলাক্স থাকতেই চেয়েছিলাম, নার্ভাস লাগেনি। আলহামদুলিল্লাহ উইকেট টা তো ভালোই লেগেছে।'
প্রথম বলেই অবশ্য বর্ষনকে চার মারেন রনি তালুকদার। সেটারও কারণ ব্যাখা করে বলছিলেন, 'প্রথম বলে চার খেয়েছিলাম সেটারও কারণ ছিল বলটা ফুলটস পড়েছিল কেননা আমরা পা টা আটকে গেছিল এজন্য বলটা হাত থেকে বের হয়ে যায়। তাছাড়া যতগুলো বল করছি সবগুলোই ভালো হয়েছে। চেষ্টা থাকবে সবসময় দলের হয়ে কনট্রিবিউট করার। টিম থেকে সবাই খুব সাপোর্ট করেছে আমাকে।'
বর্ষন এমন এক সময় পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছেন, যখন বাংলাদেশ দলে চলছে তারুণ্যের হাওয়া। তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব, শাহাদাত দিপুরা এখন জাতীয় দলের অংশ। এদের প্রত্যেকেরই উত্থান বয়সভিত্তিক দল থেকে। কে জানে, পরের নামটা হয়ত হবে রোহানাতদৌলা বর্ষনেরই।
এসএইচ/জেএ