চট্টগ্রামের বিদায়ে খুশি তারা!
ব্যাটিং শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিপিএলের প্লে-অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দেশি কোচ তুষার ইমরান নিজে ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কিংবদন্তি। তার অধীনে চট্টগ্রামের ব্যাটিংটাও ছিল চোখে পড়ার মতোই। তবে এলিমিনেটরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই কি না হতাশ করল চট্টলার ব্যাটাররা। ফরচুন বরিশালের কাছে হারে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানের হারে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে তাদের।
চট্টগ্রামের বিদায়ে স্বস্তি পেয়েছেন ফরচুন বরিশালের সমর্থকরা। তাদের দল চলে গেছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। তবে এরমাঝেও চট্টগ্রামের বিদায় স্বস্তি দিয়েছে আরও একটি পক্ষকে। মিরপুর স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা বিভিন্ন ফেরিওয়ালার কাছে চট্টগ্রামের বিদায়ই যেন স্বস্তির।
বিজ্ঞাপন
স্টেডিয়ামের বাইরে দর্শকদের জন্য হ্যাট, হেডব্যান্ড, পতাকা আর জার্সি নিয়ে বসেছেন অনেকেই। প্রথম এলিমিনেটরের ম্যাচ যখন শেষের দিকে তখনই এক বিক্রেতা জানালেন, চট্টগ্রামের বিদায়টাই চেয়েছিলেন তিনি। উৎসাহ নিয়ে কথা বলতে চাইলে জানান, ‘চার দলের মধ্যে চট্টগ্রামের ক্রেতাই সবচেয়ে কম। সকাল থেকে বিক্রি হয়নি চট্টগ্রামের পতাকা আর হেডব্যান্ড। হ্যাটের চাহিদাও নেই বললেই চলে।’
বিপিএলের বাকি দুই দিনে তাই চট্টগ্রামের অনুপস্থিতি তাদের পণ্য বিক্রিতে বাড়তি সাহায্য করবে বলেই জানালেন এই বিক্রেতা। স্টেডিয়ামের আশেপাশে বাকিদের সঙ্গে কথা বলেও জানা গেল একই কথা। চট্টগ্রামের ভক্ত বাকিদের তুলনায় কম সেটা স্বীকার করলেন সবাই।
আরও পড়ুন
কার ভক্ত বেশি। এই প্রশ্নের উত্তরটাও যেন তৈরি ছিল তাদের মুখে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্রেতা বেশি এ কথা সকলেই স্বীকার করলেন। বরিশাল আর রংপুরের ক্রেতা সমানে সমান। বিপিএলের শেষ দুইদিনে এসে বিক্রি অন্য সময়ের চেয়েও বেড়েছে বলে মন্তব্য কারো কারো।
জেএ/এফআই