ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যে একটি দল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফে ওঠার সুযোগ ছিল। দিনের প্রথম ম্যাচে বরিশাল জিতে যাওয়ায় সেখানেই স্বপ্নভঙ্গ খুলনার। এরপর সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তারা কোনো লড়াই–ই দেখাতে পারেনি। কম পুঁজি নিয়ে তারা নাজমুল হোসেন শান্তদের কাজ সহজ করে দিয়েছিল আগেই। নিজেদের শেষ ম্যাচে সিলেটের কাছে খুলনার হার ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

সিলেট স্ট্রাইকার্স ও খুলনা টাইগার্সের ম্যাচ দিয়ে আজ (শুক্রবার) বিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগের খেলা শেষ হয়ে গেল। যদিও শেষ ম্যাচটি অনেকটাই নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। চতুর্থ ও শেষ দল হিসেবে দিনের প্রথম ম্যাচে প্লে-অফে ওঠে বরিশাল। এর আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল রংপুর রাইডার্স, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

এমন উত্তাপহীন ম্যাচে তাই মিরপুরের গ্যালারিও অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। অথচ এদিন প্রথম ম্যাচ দেখার জন্য বেশ ভিড় দেখা যায় গ্যালারি ও স্টেডিয়ামের প্রবেশমুখে। তবে নিরুত্তাপ ম্যাচে স্বস্তি দিয়েছে শান্ত ও ইয়াসির আলী রাব্বির রান পাওয়া। পুরো বিপিএলজুড়ে এই দুই ক্রিকেটার ব্যাট হাতে খাবি খেয়েছেন। আগের আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক শান্ত’র চলতি বিপিএলের সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৩। আজ তিনি সেটি ৩৯ রানে উন্নীত করেছেন। এছাড়া আগের তিন ম্যাচে দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে না পারা রাব্বি আজ করেছেন ৪৬ রান।

এর আগে খুলনার দেওয়া ১২৯ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল সিলেট। সেখান থেকে শান্ত-রাব্বি ৭০ রানের জুটি বাধেন। যদিও তা ছিল ধীরগতির। তাদের বিদায়ের পর বাকি কাজ সারেন মোহাম্মদ মিঠুন (১৯) ও বেনি হাওয়েল (১২)। ফলে ৬ উইকেট ও ১২ বল হাতে রেখেই আসরের পঞ্চম জয় তুলে নেয় সিলেট।

ম্যাচের শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামা খুলনার উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শফিকুল ইসলাম। আগের বলে ৪ হজমের পরই তিনি এনামুল হক বিজয়কে বোল্ড করে দেন। ৯ বলে ১০ রান করেন খুলনা দলপতি। পরের ওভারে কোনো রান না দিয়ে খুলনাকে আরও চাপে ফেলেন সিলেটের ইংলিশ রিক্রুট সামিত প্যাটেল। কিন্তু এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন ওপেনারের ভূমিকায় নামা আফিফ হোসেন।

অন্যপ্রান্তে একের পর এক বল হজম করতে থাকা হাবিবুর রহমান সোহান ১৪ বলে ৩ রান করে আউট হন হাওয়েলের ওভারে। ১১ রানে মাহমুদুল হাসান জয়কে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। ১২ বলে ১১ রান করেন জয়। আফিফ হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩১ বলে। পরের ওভারে বিদায় নেন তিনি। ৩৫ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে আফিফ করেন ৫২ রান।

প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার প্রত্যাশা পূরণ করার আগেই বিদায় নেন, ওয়েইন পারনেল তখন বেধড়ক পেটাচ্ছিলেন সিলেটের বোলারদের। শফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় স্পেলে তিনি আউট হন ১৪ বলে ২১ রান করে। বাকিদের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম ১১, আরিফ আহমেদ ৪ ও রুবেল হোসেন ৬ রান করেন।

এএইচএস