পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) একটি আউটের বিরুদ্ধে রিভিউ নেওয়ার পর ভিন্ন ভিডিও দেখিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ডিআরএস প্রযুক্তির ওই ভুলের কারণে আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের অধিনায়ক রাইলি রুশো। এরপর তাদের প্রতিপক্ষ ইসলামাবাদ ইউনাইটেডও ম্যাচটি ৩ উইকেটে হেরে যায়। এরপর থেকেই ডিআরএসের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে। এ নিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে হক-আই প্রযুক্তি।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গতকাল পিএসএলে মুখোমুখি হয় কোয়েটা ও ইসলামাবাদ। কোয়েটা ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে ওই বিতর্ক তৈরি হয়। ক্রিজে থাকা রুশো অফ স্পিনার আগা সালমানের ডেলিভারি সুইপ করতে গেলে বল সামনের প্যাডে লাগে। বোলার–ফিল্ডারদের আবেদনে আইসিসির এলিট প্যানেলের সাবেক আম্পায়ার আলিম দার আউট দেন। তখন রুশো রিভিউ নিলে রিভিউ নিলে হক-আই বল ট্র্যাকিংয়ে দেখায়— বলের পিচিং, ইমপ্যাক্ট ও হিটিং—সবই অফ স্টাম্পের বাইরে।

কিন্তু মাঠের বড় স্ক্রিনে সেই ভিডিও দেখে হতভম্ব হয়ে যান ইসলামাবাদের ফিল্ডাররা। আলিম দার নিজেও সেটি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তবে বল-ট্র্যাকিংয়ের আগে স্লো মোশন ভিডিওতে দেখা যায়, সিদ্ধান্ত পাল্টানোর ক্ষেত্রে বলের ইমপ্যাক্ট পয়েন্ট যেখানে দেখানো হয়েছে, আর যে জায়গায় বল আসলেই প্যাডে লেগেছে—দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে।

অথচ রিভিউ’র সিদ্ধান্তে নটআউঠ হয়ে পুনরায় ব্যাট চালিয়ে যান রুশো। ১৩ রানে বেঁচে যাওয়া এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এমনটি ম্যাচসেরাও হন তিনি। ম্যাচ শেষে যা নিয়ে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইসলামাবাদ অধিনায়ক শাদাব খান। যা নিয়ে পরদিন সমালোচনার ঝড় উঠলে, হক-আই নিজেদের ভুল স্বীকার করে পিসিবির কাছে ক্ষমা চেয়েছে।

অপারেটরের ভুলে বল ট্র্যাকিংয়ের ডাটা পরিবর্তন হয়ে গেছে জানিয়ে হক-আই বলছে, ‘প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রায় সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়া এবং ভুল ডাটা দেখানোর একটু পরই ওই সময়ের সঠিক বলের ডাটা আসে।’ যা নিয়ে তারা পিসিবির কাছে নিজেদের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।

উল্লেখ্য, বল ট্র‌্যাকিংয়ের জন্য আইসিসি ২০০৮ সালে একমাত্র প্রযুক্তি হিসেবে হক-আইকে অনুমোদন দেয়। ওই বছরই প্রথম পরীক্ষা চালানোর পর থেকে ওই প্রযুক্তি ডিআরএস পদ্ধতির অংশ হিসেবে ক্রিকেটে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এএইচএস