তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসানের তিক্ততা যেন মাত্রা ছাড়াতে শুরু করেছে। দুইজনের মধ্যেকার শীতল সম্পর্ক একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবার কেউ টেলিভিশন পর্দায় একে অন্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। দীর্ঘদিনের দুই বন্ধুর মাঝে মুখ দেখাদেখিও এখন বন্ধ। এমকেএস ব্যাটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, দুজনের একে অন্যকে এড়িয়ে যাওয়ার ভিডিওটাও বেশ আলোচিত হয়েছিল।  

কিন্তু, তামিম-সাকিবের দেখা হলো ক্রিকেটের মাঠে। বিপিএলের এবারের আসরে এর আগেও মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় দুই তারকা। সেবার অবশ্য অতটা উত্তাপ ছড়ায়নি দুজনের লড়াই। তবে চট্টগ্রামে তামিম ইকবালের শহরে এসে তা যেন খানিক মাত্রাই ছাড়ালো। 

সাকিব-তামিম সম্পর্কের শীতলতা এতদিন একপাক্ষিক ভেবেছিলেন অনেক ক্রিকেট সমর্থকই। তবে গতকাল আলোচনায় এসেছেন তামিম ইকবালই। সাকিবের উইকেটের পর ব্যাঙ্গাত্মক উদযাপন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবাদে সেই ভিডিও এখন সবার মাঝে আলোচনার খোরাক জন্ম দিয়েছে। 

ঘটনার সূত্রপাত বরিশালের ইনিংসে। ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে আসেন তামিম। চট্টগ্রামের রানপ্রসবা উইকেটে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে সময় নেননি লোকাল বয় তামিম।  ১৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করে ফেলেছিলেন। কিন্তু তখনই বিপত্তি। সাকিবের বাড়তি বাউন্সের বলে বেসামাল তামিম। ইনিংসের চুতর্থ ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই তামিমকে সাজঘরে পাঠান সাকিব। 

আউট করে নিজের চিরায়িত স্বাভাবিক সেলিব্রেশন করেন তিনি। তামিমের দিকে তাকিয়ে এক হাত তুলে মুষ্টিবদ্ধ অবস্থায় উদযাপন করেন সাকিব। সেখানেই থামে বিষয়টি। কিন্তু সাকিবের বলে আউট হওয়াটা যেন গেঁথে ছিল তামিমের মাঝে। পুরাতন বন্ধুর প্রতি তিক্ততা কতখানি, তা টের পাওয়া গেল রংপুরের ইনিংস চলাকালে। 

ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামে আলো ছড়িয়েছেন সাকিব নিজেও। ১৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন তিনি। তবে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইনিংস বড় করা হয়নি তার। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডার প্রীতম কুমারের হাতে ক্যাচ দেন সাকিব। এরপরেই সাকিবের উদযাপনটা কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে নকল করেন তামিম।

সেই ভিডিও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বড়পর্দায় যেমন ধরা পড়েছে। তেমনি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দুই বন্ধুর সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ে আলোচনাও চলছে নতুন আঙ্গিকে। 

জেএ