রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পুরো নিয়ন্ত্রণ–দড়ি হাতে রেখে তৃতীয় টেস্টের প্রথমদিন শেষ করেছে ভারত। দুই সেঞ্চুরিতে একদিনেই তারা ৫ উইকেটে ৩২৬ রানের বড় সংগ্রহ পেয়ে গেছে। অধিনায়ক রোহিত শর্মার পাশাপাশি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি পেয়েছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাও। তবে নিজের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনেও জাদেজা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। সে কারণে সতীর্থ সরফরাজ খানের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।

এই ম্যাচ দিয়ে ভারত জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছে সরফরাজের। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিক পারফর্ম করেও দীর্ঘদিন জাতীয় দলে ডাক পাচ্ছিলেন না তিনি। আজ (বৃহস্পতিবার) দীর্ঘ কাঙ্ক্ষিত সেই অভিষেকের দিনে নিজের বাবা নওশাদ খান ও স্ত্রীকেও মাঠে পেয়েছেন। টেস্ট  ক্যাপ হাতে পেয়ে হয়েছেন আবেগাপ্লুত। নিজের স্মরণীয় ম্যাচটিতে তিনি শুরুটাও করেছিলেন দুর্দান্ত।

তরুণ এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে অভিষেকের আগেই কেন এত আলোচনা, সেটি সরফরাজ প্রথম ইনিংসেই বুঝিয়ে দিলেন। ৪৮ বলেই পেয়ে যান অর্ধশতক, অভিষেকে ভারত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। মনে হয়েছিল শতকও পেয়ে যাবেন এই ডানহাতি। তবে মাইলফলকের সামনে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থাকা জাদেজার ডাকে সাড়া দিয়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে ভুলটা করেন। জাদেজা ডাক দিয়েও ফিরিয়ে দেন তাকে, তবে ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই মিড অন থেকে উডের সরাসরি থ্রো ভাঙে স্টাম্প। রানআউটে ভাঙে সরফরাজের ৬৬ বলে ৬২ রানের ইনিংস।

তার রানআউটের পর ড্রেসিংরুমে রোহিত শর্মার হতাশা ছিল স্পষ্ট, মাথার ক্যাপটা খুলেই ছুড়ে মারেন তিনি। সরফরাজের ইনিংসে ছিল ৯টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা। তবে শেষ পর্যন্ত কুলদীপ যাদবকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় নিরাপদে পার করেছেন জাদেজা। দারুণ ধৈর্য নিয়ে তিনি ১১০ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে রোহিত ১৪টি চার ও তিনটি ছক্কার বাউন্ডারিতে করেছেন ১৩১ রান।

দিনশেষে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরফরাজের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন জাদেজা। হাতজোড় করার ইমোজি দিয়ে তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘সরফরাজের জন্য খারাপ লাগছে, এটি ভুল ডাক ছিল।’ তবে এরপরই হাততালির ইমোজি দিয়ে তিনি সরফরাজের ইনিংসের প্রশংসা করেছেন, ‘খুব ভালো খেলেছ।’

অনাকাঙ্ক্ষিত সেই রানআউট নিয়ে কথা বলেছেন সরফরাজও, ‘এটি খেলার অংশ। ক্রিকেটে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। মাঝেমধ্যে রানআউট হয়, আবার কখনওবা রান হয়েও যেতে পারে। লাঞ্চ বিরতির সময়ও ক্রিজে ব্যাটিং চলাকালে যাতে জাদেজা আমার সঙ্গে কথা বলেন, সেটি জানিয়ে দিই। খেলার সময় পরস্পর কথা বলে বোঝাপড়া তৈরি আমি পছন্দ করি। তার ওপর এটি আমার প্রথম ম্যাচ। এরপর তিনি সে অনুসারে আমাকে ক্রিজে সমর্থনও দিয়ে গেছেন।’

এএইচএস