চলতি বছরের শুরুতেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সঙ্গে বিবাদে জড়ান পেসার হারিস রউফ। মূলত জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট না খেলে, ওই সময় তিনি অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশে খেলার অনাপত্তি (এনওসি) চেয়েছিলেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিপরীতমুখী মন্তব্য ঘিরে বেশ জলঘোলাও হয়েছিল। এবার তার–ই ফল পেলেন হারিস, পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।

আজ (বৃহস্পতিবার) পিসিবির বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। যেখানে পাকিস্তান ক্রিকেট গভর্নিং বডির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা যায়। জাতীয় দলের হয়ে হারিস রউফের টেস্ট খেলতে না চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে পিসিবি গঠিত একটি কমিটি তদন্ত করেছে।

জিও নিউজ বলছে, গভর্নিং বডির বিবৃতিতে বলা হয়েছে— অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০২৩-২৪ টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে থাকতে না চাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় পিসিবি পেসার হারিসকে শাস্তি দিয়েছে। ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল হয়েছে তার। একইসঙ্গে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত তাকে বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের এনওসি–ও দেওয়া হবে না।

পিসিবির তদন্তে ব্যক্তিগত মতামত প্রদানের সুযোগ ছিল হারিস রউফের সামনে। গত ৩০ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে দেওয়া তার প্রতিক্রিয়া সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি ওই কমিটির। যেকোনো ক্রিকেটারেরই পাকিস্তানের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া সম্মানের বলে পিসিবি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কেবল মেডিক্যাল রিপোর্ট এবং যথাযথ কারণ সাপেক্ষে পাকিস্তান টেস্ট স্কোয়াড থেকে নাম প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। এছাড়া কোনো কারণে টেস্ট খেলতে না চাওয়া কেন্দ্রীয় চুক্তি লঙ্ঘনের শামিল।’

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নেন ওয়াহাব রিয়াজ। তার প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ওয়াহাবের দাবি— সিরিজটির জন্য দল ঘোষণার আগমুহূর্তে তার কাছে হারিস টেস্ট দলে না থাকার বিষয়টি জানান। ফিটনেস ও ওয়ার্কলোড নিয়ে চিন্তিত উল্লেখ করে নিজেকে বাইরে রাখতে চান সাদা পোশাকের ফরম্যাট থেকে। এ নিয়ে পিসিবি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, মানেননি হারিস।

পরে অবশ্য ওয়াহাবের বক্তব্য অস্বীকার করেছেন রউফ। তবে এই সিরিজে খেলতে না চাওয়ার ব্যাপারটি সত্য। কিন্তু শেষ মুহুর্তে এসে মত বদলাননি এই পেসার। তার দাবি— তিনি আগে থেকেই খেলতে চাননি। হারিস বিহীন সিরিজটিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পাত্তা পায়নি পাকিস্তান। ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাইয়ের সিরিজটিতে বোলিংয়ে অভিজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন কেবল শাহিন আফ্রিদি। তবে অভিষেক হওয়া আমের জামাল ও আবরার আহমেদরা ঠিকই চমক দেখিয়েছেন। যদিও ব্যাট হাতে অধারাবাহিক ছিলেন পাকিস্তানের টপ ও মিডল অর্ডাররা।

এএইচএস