ব্যাট হাতে ঘরোয়া ক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছেন বছরের পর বছর। তবুও অজানা কোনো এক কারণে জাতীয় দলে ঠাঁই হচ্ছিল না ভারতীয় ব্যাটার সরফরাজ খানের। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে ডাক পাওয়ার পর হার্শা ভোগলে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ভারতীয় নির্বাচকদের দরজা ভেঙেই দলে এসেছেন সরফরাজ। অবশ্য দলে ডাক পেলেও একাদশে সুযোগ পেতে অপেক্ষা করতে হলো আরও দুটা টেস্ট। অবশেষে তৃতীয় তথা রাজকোট টেস্টে আজ ভারতের জার্সি গায়ে চাপালেন

সরফরাজ খানের টেস্ট অভিষেকের মুহূর্তে মাঠে তার বাবা নওশাদ খান এবং তার স্ত্রী রোমানা জহুরের আবেগঘন মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বাবা হিসেবে এমন একটা দিনের স্বপ্ন বহুদিন ধরেই দেখেছিলেন নওশাদ। শুরুতে খানিক হাসিমুখে থাকলেও শেষ পর্যন্ত নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি তিনি। গায়ে চাপানো জ্যাকেটে চোখের পানি লুকোতে চাইলেন। কিন্তু ক্যামেরার চোখ ফাঁকি দেবেন, সেই সাধ্য হয়ত ছিল না। 

এদিন আবেগ ধরে রাখতে পারেননি স্ত্রী রোমানা জহুরও। সরফরাজকে দেখা যায় স্ত্রীর চোখের পানি মুছে দিতে। স্ত্রীকে মাঠের মধ্যে জড়িয়েও ধরেন সরফরাজ। খান পরিবারের খুশির দিনে ব্যাট হাতেও রাঙালেন সরফরাজ। অভিষেক টেস্টে ব্যাট করতে নেমে দুর্ভাগ্যজনক রান আউট হওয়ার আগে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং ৬৬ বলে ৬২ রান করেছেন। যেখানে ৯টি চারের সঙ্গে ছিল একটি ছক্কার মার। 

সরফরাজের ব্যাটিংয়ের সময় বারবার ক্যামেরায় ধরা পড়ছিলেন তার বাবা ও স্ত্রী। একেটা বাউন্ডারিতে যেমন হাততালিতে বরণ করে নিচ্ছিলেন, তেমনি শেষ বেলায় আউট হওয়ার দৃশ্যতেও নেমেছিল রাজ্যের নিরবতা।

 

সরফরাজের স্ত্রী কে এই রোমানা জহুর?

২০২৩ সালে কাশ্মিরের মেয়ে রোমানা জহুরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সরফরাজ খান। মুম্বাইয়ের এই ক্রিকেটারের এক কাজিনের সঙ্গে দিল্লিতে পড়তেন রুমানা। একবার তার সঙ্গেই খেলা দেখতে গিয়ে সরফরাজের সঙ্গে আলাপ হয়।

প্রথম দেখাতেই রোমানার প্রেমে পড়ে যান সরফরাজ। ঠিক করে ফেলেন, একেই বিয়ে করবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। বিয়ের দিন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, উপরওয়ালা চেয়েছিলেন বিয়েটা কাশ্মীরে হোক। যদি তিনি চান, তাহলে আবার ভারতের হয়ে খেলব।’ ঠিকই জাতীয় দলে সুযোগটা পেলেন। 

এফআই