অনেকটা দিন ধরেই কথা বন্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই তারকা সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের। তাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসার পরে টাইগার ক্রিকেটের দুর্দশার কাহিনী সকলেরই জানা। এবার এমন এক পরিস্থিতির কথা জানা গেল খোদ ক্রিকেটের জনকখ্যাত দেশ ইংল্যান্ডে। দেশটির ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নাকি এমন, তাদের নিজেদের মাঝে কথাই এখন বন্ধ। 

অবশ্য বাংলাদেশের ক্রিকেটে বিষয়টা যেমন নেতিবাচক, ইংলিশ ক্রিকেটে বিষয়টা ঠিক ততটাই ইতিবাচক। নিজেদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ধারা বাজবলের কারণেই এমন পরিস্থিতি জো রুট-বেন স্টোকসদের ড্রেসিংরুমে। আক্রমণাত্মক ধাঁচের এই ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নাকি ম্যাচের আগে নিজেদের মধ্যে আর কথা বলছেন না ক্রিকেটারেরা। এমনটাই জানিয়েছেন জো রুট। 

ব্রডকাস্টিং চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে রুট বলেন, ‘আমরা এখন আর টিম মিটিং করি না। ম্যাচের আগে কেউ কারও সঙ্গে আলোচনা করি না। যেটা করি সেটা হল বেশি কথা না বলে মাঠে নেমে খেলা উপভোগ করা। আমরা একসঙ্গে সময় কাটাই। কিন্তু সেখানে খেলা নিয়ে বেশি কথা হয় না।’

ইংলিশ ক্রিকেটের দর্শনই আজকাল আমূল বদলে গিয়েছে। নিজেরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে চলেছেন। প্রতিপক্ষের ওপর মনস্তাত্বিক চাপ ফেলতেও সিদ্ধহস্ত তারা। ম্যাচের আগের দিন স্কোয়াড ঘোষণা করে, কখনো বেল ছুঁয়ে দিয়ে, কখনোবা আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে বারবারই প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করতে চান দলের খেলোয়াড়রা। 

 

রুট জানান, দলের ক্রিকেটারেরা এখন একটি পরিবারের মতো থাকেন। সেখানে যে কোনও সময় আলোচনা করা যায়। আলাদা করে মিটিং করার প্রয়োজন পড়ে না, ‘আলাদা করে বসার প্রয়োজন পড়ে না। দলের সবাই একসঙ্গে প্রাতরাশ শেষ করি। একসঙ্গে বসে মধ্যাহ্নভোজ করি। তখন কথা হয়। এক কাপ কফি নিয়েও আলোচনা করা যায়। এখন আমরা এই নীতিতে বিশ্বাস করি।’

ভারত সফরে এসে হায়দ্রাবাদে প্রথম টেস্টে জিতেছিল ইংল্যান্ড। বিশাখাপত্তমে অবশ্য হেরেছে তারা। তাতে তাদের খেলার ধরন বদলাবে না বলেই জানিয়েছেন রুট, ‘খেলার ফল যাই হোক না কেন আমরা আগামী দিনেও এ ভাবেই খেলব। এ ভাবে খেলেই আমরা সাফল্য পেয়েছি। এটাই আমরা সব থেকে ভাল পারি। দলের সবাই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে। তা হলে কেন একটা টেস্ট হেরে যাওয়ায় খেলার ধরন বদলাতে যাব?’ 

ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ টেস্টের সিরিজ এখন ১-১ সমতায় রয়েছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে গুজরাটের রাজকোটে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট। পরের দুই টেস্ট যথাক্রমে রাঁচী ও ধর্মশালায়।

জেএ