পাকিস্তানের ক্রিকেটের কিংবদন্তির তালিকা খুব একটা ছোট না। সেই তালিকায় বেশ ওপরের দিকেই আছেন মঈন খান। দেশটির বিশ্বকাপ জয়ের দলে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ছিলেন এই উইকেটরক্ষক। তার পথ ধরে আরও একজন উইকেটরক্ষক পেয়েছে পাকিস্তান। মঈন খানের ছেলে আজম খান এখন ক্রিকেট দুনিয়ার পরিচিত নাম। পাকিস্তান দলে নিয়মিত না হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটে বরাবরই ডাক পড়ে তার। 

ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটে বেশ কদর আজম খানের। ১১০ কেজি ওজনের আজম খানের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তার পাওয়ার হিটিংই বিভিন্ন সময়ে তাকে করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামলেই আজম খান যেন বিবর্ণ এক স্বত্ত্বা। অবশ্য এসবের জন্য কোচ আর নির্বাচকদের উপরেই দায় চাপালেন তিনি। পুরো সিরিজ খেলতে না পারাকেই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। 

আইএল টি-টোয়েন্টিতে ডেজার্ট ভাইপারের সঙ্গে আলাপকালে দলের কোচ এবং নির্বাচকদের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।  টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আটটি ম্যাচে মাত্র ২৯ রান করেছেন। গত তিন বছরে খেলেছেন মাত্র সাতটি ইনিংস। এসবের ব্যাখ্যায় আজম খানের বক্তব্য, ‘গত চার বছরে তিন বার দলে ফিরে এসেছি। কখনও পুরো সিরিজ়‌ খেলার সুযোগ পাইনি। কষ্ট তো লাগবেই। হয় আমাকে গোটা সিরিজ়‌ে সুযোগ দিন, না হলে দল থেকেই বাদ দিয়ে দিন। এ ভাবে মাঝে ঝুলিয়ে রাখবেন না।’ 

 

কেন টি-টোয়েন্টি লিগে তার এই সাফল্য তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘লিগ ক্রিকেটে আমি একটানা সুযোগ পাই। দল জানে যে আমি ম্যাচ জেতাতে পারি। তাই ওরা আমায় ডাকে।’  

পাকিস্তানের নির্বাচক এবং কোচদের প্রতি তার বক্তব্য, ‘এখানে আপনারা বাদ দিয়ে আমার মনের মধ্যেই সংশয় তৈরি করে দিচ্ছেন। আমি ভাবছি, হয়তো এই পর্যায়ে খেলার মতো যোগ্যতা আমার নেই। যদি সেটাই হয় তা হলে ঠিক আছে। আমি নিজের রাস্তা খুঁজে নেব।’ 

জেএ