টিভিসেটের সামনে যে কেউই ধারণা করেছিলেন কুলদ্বীপ যাদবের বলটি পুরোপুরি স্ট্যাম্পে হিট করা সম্ভব না। পুরো মিস না করলেও অন্তত ৫০ শতাংশ স্ট্যাম্পের বাইরে থাকবে বলেই ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু ডিআরএসের বল ট্র্যাকিং দেখে বিষ্মিত না হয়ে উপায় ছিল না। জ্যাক ক্রলির প্যাডে আঘাত করা বলটা সরাসরি আঘাত করেছে স্ট্যাম্পে। ফলাফল, আউট হলেন ইংলিশ ওপেনার। 

বিশাখাপত্তমে ভারত ইংল্যান্ডের জন্য টার্গেট দিয়েছিল ৩৯৯ রানের। আরেকপ্রান্তের আসা-যাওয়ার মধ্যেই অটল ছিলেন ক্রলি। খাদের কিনারায় থাকা দলকে একাই টেনে নিতে গিয়েছিলেন এই ওপেনার। ৭৩ রান করা এই ব্যাটারের ওপর আস্থা ছিল ইংলিশ সমর্থকদের। কিন্তু কুলদীপের ডেলিভারিতে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় তাকে।

 

কিন্তু এই আউটকে স্বাভাবিক মানতে নারাজ ইংলিশ অধিনায়ক। হারের পর প্রশ্ন তুলেছেন প্রযুক্তি নিয়ে, ‘আমরা সবাই জানি যে, ক্রিকেটে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার হয় এবং সেটা শতভাগ সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। সেই কারণেই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে এখনও গুরুত্ব দেওয়া হয়। যে জিনিসটা ১০০ শতাংশ ঠিক নয়, সেটা নিয়ে আমি যদি বলি কিছু ত্রুটি ঘটেছে, সেটা নিশ্চয়ই ভুল হবে না। এটাই আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি এটাই বলব।’  

জ্যাক ক্রলির ওই আউটের পর কার্যত ম্যাচ থেকেই ছিটকে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ভারতের দেওয়া ৩৯৯ রানের লক্ষ্যে ২৯২ রান করে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। তবে এমন পরাজয়ের জন্য ক্রলির আউটকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাননি স্টোকস। তিনি বলেন, ‘একটা খেলায় অনেক 'যদি', 'কিন্তু' থাকে। আমি এটা বলব না, এ আউটের কারণে আমরা আমাদের প্রত্যাশিত ফলাফল পাইনি। আমি শুধু আমার মতামত দিচ্ছি যে এখানে প্রযুক্তি ভুল করেছে এবং এটা বলাটা ঠিক আছে।’ 

পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। অভিষিক্ত টম হার্টলির ঘূর্ণিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ইংলিশরা। ২৮ রানের জয় আসে সেই ম্যাচে। পরের ম্যাচেই অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। ১০৬ রানের বিশাল জয়ে সিরিজে এসেছে ১-১ সমতা। পরবর্তী ম্যাচ রাজকোটে। ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে মাঠে গড়াবে সেই ম্যাচ। 

জেএ