এক এক করে বিপিএল ছাড়তে শুরু করেছেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা। পাক ক্রিকেটের দুই বড় নাম মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম এরইমাঝে নিজ নিজ দলকে বিদায় জানিয়েছেন। দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার কথায় ফিরে যেতে হয়েছে তাদের। তাদের এই প্রস্থানে স্বাভাবিকভাবেই রঙ হারাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। 

তবে শুধু বাবর রিজওয়ানই না, একে একে সব পাকিস্তানি খেলোয়াড়ই নিজ দেশের ফ্লাইট ধরবেন। বিপিএলে থাকা ক্রিকেটারদের অনেকে অবশ্য ১৩ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবেন। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এমন প্রস্থান স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছে প্রশ্ন। কেন পাক ক্রিকেটারদের সবাই ফিরে যাচ্ছেন নিজ নিজ দেশে। 

কারণটাও অবশ্য কিছুটা স্পষ্ট। ১৭ তারিখ থেকে পাকিস্তানের নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ পিএসএল শুরু হচ্ছে। ছয় দলের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নিতেই এমন অবস্থা। অবশ্য তার আগেও কিছুটা সময় হাতে আছে। সেই দিক বিবেচনা করেই অনেক পাকিস্তানি ক্রিকেটারই বোর্ডের কাছে নিজেদের এনওসি বা অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন। 

কিন্তু ক্রিকেটারদের এই আবেদনে সাড়া দেয়নি পিসিবি। বিশেষ করে বর্তমান জাতীয় দলের সঙ্গে থাকা প্রায় সবারই এনওসি শেষ হচ্ছে চলতি সপ্তাহেই। বিপিএলে থাকা ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরও তাই ফিরে যেতে হচ্ছে নিজের দেশে। 

এনওসির মেয়াদ বৃদ্ধির এমন আবেদন প্রত্যাখ্যানের পর জাতীয় দলের বর্তমান এবং ভবিষ্যত অনেক তারকাই অবশ্য হতাশ। এমনকি জাতীয় দলের সঙ্গে নেই এমন অনেককেও পিএসএল শুরুর বেশ আগেই ফিরতে হচ্ছে নিজেদের দেশে। 

ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেশটির এক ক্রিকেটার বলেন, যাদের ওয়ার্কলোড সমস্যা নেই, তাদেরকে পিসিএল শুরুর আগে আরও বেশি সময় খেলতে দেওয়া উচিত ছিল। আবার শোয়েব মালিক বা ইমাদ ওয়াসিমের মত অনেকেই বর্তমানে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের উপরেই পুরোপুরি নির্ভরশীল। পিসিবির এমন সিদ্ধান্তে চটেছেন এমন তারকারাও। 

বর্তমানে দেশের বাইরে থাকা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের বেশিরভাগের এনওসি মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৭ ফেব্রুয়ারি। বাকিদের মেয়াদ শেষ হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। কেবলমাত্র একজন খেলোয়াড় ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খেলার অনুমতি পাচ্ছেন। 

জেএ