ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ মানেই তারুণ্যের প্রতিভার ছড়াছড়ি। আইপিএল, সিপিএল কিংবা পিএসএল এখন পর্যন্ত উপহার দিয়েছে একাধিক তরুণ ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টির নাম্বার ওয়ান ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবের উত্থানও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে। এমনকি বিপিএলেও আছে এই নজির। নাজমুল হোসেন শান্ত গত বিপিএল থেকেই উঠেছিলেন ফর্মের চূড়ায়। তাওহিদ হৃদয় নিজেও আলো কেড়েছেন বিপিএল থেকে। 

যদিও এবারের বিপিএলে দুই পর্ব শেষ হলেও তেমন কোনো নতুন মুখের দেখা মেলেনি। সিলেটের জাকির হাসান এবং চট্টগ্রামের দুই তরুণ তানজিদ হাসান তামিম এবং শাহাদাত হোসেন দিপুই যা আলো কেড়েছেন। এছাড়া সেরাদের তালিকায় থাকা বাকিদের সবাই মূলত অভিজ্ঞ দেশি এবং বিদেশি তারকা। 

সিলেট পর্ব শেষে এখন পর্যন্ত বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ৬ ম্যাচে করেছেন ২২৮ রান। ৪৫ গড়ের পাশাপাশি স্ট্রাইকরেটও সমৃদ্ধ দেশি এই ব্যাটার। প্রায় ১৩০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন তিনি। দেশি বিদেশি মিলিয়ে ২০০ এর বেশি রান করেছেন আর একজন। তিনি বাবর আজম। 

৫ ম্যাচে ৫১ গড়ে ব্যাট করা বাবরের স্ট্রাইকরেট অবশ্য ১১৫.৬। এরপরেই আছেন জাকির হাসান। তিনি খেলেছেন ৭ ম্যাচ। ১৯৩ রান করে উঠে এসেছেন তালিকার তিনে। সিলেটের দুঃসময় চললেও ব্যাট হাতে নিয়মিত পারফর্মের চেষ্টায় আছেন এই তরুণ। ৩২.১৭ গড় এবং ১৩০ এর নিচে স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়েছেন তিনি। 

সেরা পাঁচে আছেন আভিস্কা ফার্নান্দো এবং তামিম ইকবাল। লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা এই আসরে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক। তার রান ১৭৪। গড় অবশ্য ৩৫ এর নিচে। আর মুশফিকুর রহিমের সতীর্থ তামিম ইকবাল করেছেন ১৪৯ রান। কোনো ফিফটি না পেলেও ঠিকই নিজের জাত চিনিয়েছেন তামিম। 

সেরা দশে থাকা বাকি খেলোয়াড়দের মাঝে আছেন কুমিল্লার ইমরুল কায়েস। দলের ফার্স্ট চয়েজ না থাকলেও সুযোগ পেলেই ইমরুল খেলছেন দারুণ সব ইনিংস। টি-টোয়েন্টি দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া এই ওপেনার কুমিল্লার জন্য বড় সম্পদ। তালিকার পরের দুইজনই আফগানি। রংপুরের আজমত ওমরজাই করেছেন ১৪৭ রান। আর চট্টগ্রামের নাজিবউল্লাহ জাদরানের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪৬ রান। 

এনামুল হক বিজয় এবার খুলনার অধিনায়ক হয়েই জাদু দেখাচ্ছেন। বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় ১৪২ রান নিয়ে আছেন নবম স্থানে। আর ১৩৮ রান নিয়ে দশম স্থানে চট্টগ্রামের শাহাদাত দিপু। ১৩২ রান নিয়ে এগারোতে তানজিদ হাসান তামিম।

জেএ