২০২০ সালে বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপের জয়ের ক্ষণটা রাঙিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার ইয়ান বিশপ। ক্যারিবিয়ান এই পেসারের কণ্ঠেও শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য এই মুহূর্তটা। শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব আর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন সেবার। 

সেবারের মত এবারেও যুব বিশ্বকাপের ধারাভাষ্য কেন্দ্রে আছেন ইয়ান বিশপ। বাংলাদেশি পেসারদের বোলিং নৈপুণ্যে মুগ্ধ হয়েছেন তিনি। যুব বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ধারাভাষ্য কেন্দ্রে থেকেই জানালেন নিজের মুগ্ধতার কথা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে প্রকাশ করেছেন তা। 

বাংলাদেশের ম্যাচ চলাকালেই টুইটে বিশপ লিখেছেন, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে দেখছি। তাদের ফাস্ট বোলাররা যেমনভাবে উন্নতি করেছে তাতে মুগ্ধ না হয়ে পারছি না। মাঠে কি অসম্ভব শক্তিশালী এবং দক্ষ ওরা! আর ওরা কাউকে ভয়ও পায় না।’ 

সেমির এই গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রেখেছেন অবশ্য এক পেসারই। রোহানাত দৌলা বর্ষন দুর্ধর্ষ স্পেলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। শামল হুসেইন, আজান আওয়াইজ দুজনেই ছিলেন পাক ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ। তাদেরকে ফিরিয়েছেন। এরপর মিডল অর্ডারে আহমাদ হাসান এবং লোয়ার অর্ডারে মোহাম্মদ জিসানকেও ফিরিয়েছেন তিনি। 

এদিন চার উইকেট পেয়েছেন স্পিনার শেখ পারভেজ জীবনও। তবে আসরে বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছেন পেসাররাই। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে মারুফ মৃধা পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। এরপর নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে বর্ষন শিকার করেছেন ৪ উইকেট। নতুন দিনের এসব পেসারদের প্রতি মুগ্ধতাই তাই ঝরলো ইয়ান বিশপের মুখ থেকে। 

ইয়ান বিশপ নিজে ছিলেন পেসার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণালী সময়ে খেলেছিলেন তিনি। ত্রিনিদাদ থেকে উঠে আসা এই পেসার ৪৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬১ উইকেট। আর ৮৪ ওয়ানডেতে তার উইকেট ১১৮টি। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে নিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৫শ উইকেট। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ধারাভাষ্য করেই দিন পার করছেন তিনি। সুনাম কুড়িয়েছেন সেখানেও। 

জেএ