ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশ দলের পেসারদের পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিম্নমুখী। উইকেটের দেখা পেতেই হিমশিম খেতে হয়েছিল টাইগার পেসারদের। ২০২১-২২ সালের দুর্দান্ত পেস ইউনিট বিশ্বকাপে নিজেদের রঙ হারিয়েছিল। বাংলাদেশও ভুগেছিল পুরো আসরেই। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড সফরে পেসার শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে ভাল কিছু পারফর্ম দেখা গেলেও বিপিএলে সেই দুর্দশার চিত্রই দেখা গেল। 

বিপিএলে দেশের মাটির চিরচেনা পিচে বল করতে এসেও বিদেশিদের পেছনেই থাকতে হয়েছে বাংলাদেশের পেসারদের। দাশুন শানাকা, কার্টিস ক্যাম্ফারদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়েই আছে দেশের পেসাররা। আইরিশ মিডিয়াম পেসার ক্যাম্ফার এখন পর্যন্ত প্রতিটি উইকেট পেতে খরচ করেছেন ১১ এর কম রান। দাশুন শানাকা ২ ম্যাচেই ৫ উইকেট পেয়েছেন। উইকেট প্রতি খরচ করেছেন ৭ এর কম রান। 

বিপরীতে দেশের পেস আক্রমণের বড় ভরসা মুস্তাফিজুর রহমানের অবস্থা বেশ নাজুক। চার ম্যাচ খেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই পেসার পেয়েছেন মোটে ৬ উইকেট। যেখানে প্রতি উইকেটের জন্য দিয়েছেন ২২ এর বেশি রান। এতদিন দেশের উইকেটে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দ্য ফিজ এবার হয়ত নিজের দেশেও কিছুটা রঙ হারাচ্ছেন। ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৯.৮৫ রান।  

শরিফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদ কিছুটা ভালো করেছেন। দুজনেরই পারফরম্যান্স সমানে সমান। দুজনেই পেয়েছেন ৬ উইকেট। প্রত্যেকেই উইকেট প্রতি খরচ করেছেন ২০.১৭ রান। তবে হাসান খেলেছেন ৫ ম্যাচ এবং শরিফুল খেলেছেন চার ম্যাচ। হাসান ওভারপ্রতি খরচ করেছেন সাড়ে সাত রান। আর শরিফুল দিয়েছেন ৯ এর বেশি।   

টেস্ট বোলার হিসেবে খ্যাতি পাওয়া খালেদই এবারের বিপিএলে দেশের পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল অবস্থানে আছেন। ৭ উইকেট পেয়েছেন। গড় হিসেবে ২০ এর নিচে রান দিয়েছেন প্রতিটি উইকেটের পেছনে। তবে তিনিও ওভারপ্রতি ৯ এর বেশি রান দিয়েছেন। এছাড়া আল-আমিন হোসেন ওভারপ্রতি ৭ এর কাছাকাছি রান দিলেও উইকেটের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। 

দেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল অবস্থানে আছেন শেখ মাহেদি হাসান। রংপুরের এই স্পিনার মাত্র ১২.৮৬ গড়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট। রান দেওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কৃপণ ছিলেন এই স্পিনার। মাত্র ৬.১৪ রান দিয়েছেন তিনি। স্পিনারদের মধ্যে এরপরেই আছেন ১৬.২০ গড়ে ৫ উইকেট পাওয়া কুমিল্লার তানভির ইসলাম। 

জেএ