আবারও বিপিএলে ফিরছেন শোয়েব মালিক
বিপিএলের মাঝপথে হুট করেই বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। ব্যক্তিগত কারণে তিনি উড়াল দিয়েছিলেন দুবাইয়ে। একই সময়ে তার বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো গুরুতর এক অভিযোগও উঠেছিল। যদিও পরবর্তীতে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল উভয়পক্ষ। সেই বিতর্কের জল আর সামনে গড়ায়নি। এর ভেতর আবারও চলতি বিপিএলে শোয়েব খেলতে আসছেন বলে জানিয়েছে তার দল ফরচুন বরিশাল।
আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা বলছে— আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি আবার ফরচুন বরিশালে যোগ দেবেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। বিপিএলের সিলেট পর্বে তিনি খুলনার বিপক্ষে ৩ ফেব্রুয়ারির ম্যাচটি খেলবেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে ২৩ জানুয়ারি রাতে আচমকা পারিবারিক কারণে ঢাকা ছাড়েন শোয়েব মালিক। ফলে তার জায়গায় নতুন করে নেওয়া হয় আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদকে। এছাড়া চলতি বিপিএলে শোয়েব মালিককে আর দেখা যাবে না বলেও শোনা গিয়েছিল। তবে সেই শঙ্কা উড়িয়ে এবার নতুন করে মালিকের আগমনের বার্তা দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
সম্প্রতি মাঠে ও বাইরে বেশ কঠিন সময়ই পার করছেন তারকা অলরাউন্ডার শোয়েব। নিজের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে পারিবারিকভাবে বিরূপ পরিস্থিতিতে আছেন তিনি। এর বাইরে বিপিএলের ম্যাচে এক ওভারে তিনটি নো বল করায় তার বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়েরও অভিযোগ ওঠে। ২২ জানুয়ারি বরিশালের হয়ে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বল করার সময় তিনটি নো বলসহ এক ওভারে ১৮ রান দেন শোয়েব। যার কারণে বিরক্তিও প্রকাশ করতে দেখা যায় বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। পরে শোয়েবকে আর বোলিংয়ে আনেনি বরিশাল।
আরও পড়ুন
একজন স্পিনারের একই ওভারে তিনবার ওভার স্টেপিং খুব একটা দেখা যায় না। তাই অনেকেই শোয়েবের এই ঘটনার সঙ্গে ফিক্সিংয়ের গন্ধ খোঁজার চেষ্টা করছেন। তবে এমন গুজব উড়িয়ে দিয়েছেন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান। বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ওই বিবৃতির পর এবার শোয়েব নিজেও মুখ খুলেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া গুজবের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করাও জরুরি মনে করছি। এ ধরনের ভিত্তিহীন গুজব শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছি আমি। যেকোনো তথ্য বিশ্বাস এবং ছড়ানোর আগে অবশ্যই যাছাই করা উচিৎ। অন্যথায় এরকম মিথ্যা যে কারও সুনামে আঘাত করার পাশাপাশি বিভ্রান্তিও তৈরি করতে পারে। তাই স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্য সোর্সের মাধ্যমে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করুন।’
এএইচএস