ঢাকায় ২ ম্যাচ খেলে দুইটাতেই হেরেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ভাগ্য বদলের আশা নিয়ে ঘরের মাঠে এসেছিল স্ট্রাইকার্সরা। তবে এখানে এসেও ভাগ্যের চাকা ঘুরলো না। বরং চেনা দর্শকদের হতাশ করে টানা পঞ্চম ম্যাচেও হেরেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সিলেটকে ৪৯ রানে হারিয়ে আসরে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলের হয়ে ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছেন আহমেদ শেহজাদ। জবাবে খেলতে নেমে ১৭ ওভার ৩ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানে থেমেছে সিলেট।

১৮৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ভুগেছে সিলেট। অফ ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ৭ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আরেক ওপেনার শামসুর রহমান শুভ উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ বলে ২৫ রান।

চারে নেমে আরও একবার ব্যর্থ হয়েছে মাশরাফি। বল হাতে বাজে সময় পার করা অধিনায়ক ব্যাট হাতেও সুবিধা করতে পারেননি। ৪ বলে ২ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। মিডল অর্ডারে বেনি হাওয়েল কিছুটা আশা দেখালেও ২৪ রানে থেমেছেন।

এক প্রান্তে ব্যাটারদের এমন আসা-যাওয়ার মধ্যেও আরেক প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন জাকির হাসান। এই টপ অর্ডার ব্যাটার যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন ততক্ষণ ম্যাচে ছিল সিলেট। তবে ৪৬ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরলে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি সিলেট।

বরিশালের হয়ে ২৯ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ ইমরান। তাছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও খালেদ আহমেদ।

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৮ বলে ২ রান করেছেন অধিনায়ক। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি প্রীতম কুমারও। তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১ রান।

৩৩ রানে দুই উইকেট হারানো ফরচুনদের ভাগ্য বদলে দেন আহমেদ শেহজাদ ও সৌম্য সরকার জুটি। এই দুইজনে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৫০ রান। ১৭ বলে ২০ রান করেছেন সৌম্য। আর শেহজাদ ফিরেছেন ৬৬ রান করে।

এরপর মুশফিকুর রহিম ২২ রান করে সাজঘরে ফিরলেও রীতিমতো ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে অপরাজিত ৫১ রান। আর মিরাজ করেছেন ৬ বলে অপরাজিত ১৫ রান।

এইচজেএস